হারের দায় মাথায় নিয়েই পদত্যাগপত্র পাঠালেন নদিয়া জেলার সভাপতি। শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর পদ ছাড়তে চেয়ে মঙ্গলবার সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি দিলেন বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী। কিন্তু পদত্যাগের কারণ কী? পেশায় ইংরেজির মাস্টারমশাই অশোক চক্রবর্তী বলেন, ‘শান্তিপুরে ভাল হয়নি। সেই দায় মাথায় নিয়েই সরে যেতে চাইছি।’ শুধুই কী ফলাফলের জন্য এই সিদ্ধান্ত? তিনি কোনও উত্তর দেননি। সূত্রের খবর, এই জেলায় এখন প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। জেলা সভাপতির কথা অনেকেই মানছেন না। আবার তলায় তলায় অনেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে ভোটবাক্সে।
শান্তিপুর বিধানসভাতে দীর্ঘ পাঁচ বারের বিধায়ক ছয়বারের পৌরপতি কে হারিয়ে জয় লাভ করে সাংসদ জগন্নাথ সরকার । কিন্তু সাংসদ পদ বহাল রাখার কারণে অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়া শান্তিপুরের উপনির্বাচনে বিজেপির ভোট তলানিতে গিয়ে ঠেকে, প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া সিপিআইএমের সমতুল্য হয়ে দাঁড়ায়।
ব্যাপকভাবে হারের দায় ভার মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন বিজেপির নদিয়া জেলার দক্ষিনের সাংগঠনিক সভাপতি অশোক চক্রবর্তী । তিনি জানান দলীয় সাফল্যে যেরকম আমাদের দায় নিতে হয় দলের হারেও আমাদের দায় নিতে হবে আর সেই কারনেই আমার পদত্যাগ ।তিনি অন্য কোনো দলে যাবার কথা এক কথায় না প্রকাশ করলেও ,তিনি দলের প্রার্থী বাছাই , অন্যদল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মানুষকে প্রাধান্য দেওয়া এবং সাংসদদের টিকিট দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ উগরে দেন ।
আর ও পড়ুন কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্কে সংঘাত কাম্য নয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে বললেন মমতা
তিনি বলেন দলের ভুল সিদ্ধান্তের ক্ষেসারত ৫৮ জন কর্মী তাদের জীবন দিয়ে দিয়েছেন ।আরও যারা সাংগঠনিক কর্মী আছেন তাদেরও মুল্য চোকাতে হবে । যদিও বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি এভাবেই পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে ছিলেন রাজ্য কমিটির কাছে, তা অনুমোদন হয়নি। এবারেও তাই কি ঘটতে চলেছে ? কটাক্ষ করেছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য ডঃ প্রসেনজিৎ মন্ডল,তিনি বলেন, এরাজ্যে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে বিজেপি, হারের কারণ হিসেবে নিজেদের মধ্যেই দোষারোপের জেরেই গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। হারের দায় মাথায় নিয়েই পদত্যাগপত্র পাঠালেন নদিয়া জেলার সভাপতি।
শান্তিপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়ার পর পদ ছাড়তে চেয়ে মঙ্গলবার সুকান্ত মজুমদারকে চিঠি দিলেন বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী। কিন্তু পদত্যাগের কারণ কী? পেশায় ইংরেজির মাস্টারমশাই অশোক চক্রবর্তী বলেন, ‘শান্তিপুরে ভাল হয়নি। সেই দায় মাথায় নিয়েই সরে যেতে চাইছি।’ শুধুই কী ফলাফলের জন্য এই সিদ্ধান্ত? তিনি কোনও উত্তর দেননি। সূত্রের খবর, এই জেলায় এখন প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। জেলা সভাপতির কথা অনেকেই মানছেন না। আবার তলায় তলায় অনেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। যার প্রভাব পড়েছে ভোটবাক্সে।