মাদক কারবারের শিকর উপড়ে ফেলতে এসওজি শিলিগুড়ির বাইরেরও চালাচ্ছে অভিযান, ধৃত ১। সমাজকে মাদকমুক্ত করতে তৎপর শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। সমাজকে মাদক মুক্ত করার অভিযানে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ফাঁড়ির পাশাপাশি স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)। শুধু শিলিগুড়ি শহরেই মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান নয়, সমাজকে মাদকমুক্ত করার প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হয়ে এবারে শিলিগুড়ি শহর থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে নদীয়া জেলার পলাশি এলাকা থেকে এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করলো এসওজি। এসওজি টিমের অভিযান শুধু শিলিগুড়ি শহরে নয় শহরের বাইরেও চালানো হচ্ছে অভিযান। মাদক কারবারের শিখর উপড়ে ফেলতে বদ্ধ পরিকর এসওজি।
এসওজি আধিকারিক সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মনজুর রাহমন। সে নদীয়া জেলার পলাশীর বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৩ মাস ধরে এই মনজুর রহেমনের খোঁজে তদন্ত চলছিল। তবে অবশেষে মিলল সাফল্য। গোপন সূত্রের খবর ও অভিযুক্তের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে শুক্রবার পলাশীর স্থানীয় থানার সহোযোগিতায় মনজুরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এসওজি টিম।
জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাসে এক কিলো ব্রাউন সুগার হস্তান্তর করতে গিয়ে মাটিগাড়া এলাকা থেকে দুইজন মাদক কারবারিকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এসওজি টিম ও মাটিগাড়া থানার পুলিশ। ধৃতদের নাম আবু কাসেম ও মহম্মদ বাসিত। এরপর ধৃতদের পুলিশি হেপাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে মনজুরের নাম। পুলিশ জানতে পারে এই মনজুর ব্রাউন সুগার আবু কাসেমকে বলেছিল মহম্মদ বাসিতকে সরবরাহ করতে।আর তখন থেকেই মনজুরের খোঁজে তদন্ত শুরু করে পলাশি পৌঁছায় এসওজির টিম। তবে পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে মনজুর পালিয়ে যায়। দীর্ঘ দিন ধরে কেরোলে গা ঢাকা দিয়ে ছিল মনজুর। এরপর গোপন সূত্রে খবরে ভিত্তিতে এসওজি টিম খবর পায় মনজুর পলাশিতে ফিরছে। সূত্রের খবরে ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে এসওজি টিম পলাশি গিয়ে মনজুরকে গ্রেফতার করে। শনিবার শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয়। রবিবার ধৃত মনজুর রাহমানকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়।