মুম্বাই – মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চের মাদকবিরোধী সেলের সাম্প্রতিক অভিযান গোটা দেশকে আবারও নাড়িয়ে দিয়েছে। ভবেশ শাহ সহ তিনজনের গ্রেপ্তারি এবং তাদের কাছ থেকে ১.১১ লক্ষ ট্রামাডল ট্যাবলেট উদ্ধার নিছক একটি অপরাধ দমন নয়; এটি এক গভীর সামাজিক সমস্যার প্রতিফলন। আনুমানিক ২ কোটি টাকার এই মাদকচালানটি যে আইএসআইএস মডিউলের সঙ্গে সংযুক্ত, তা গোটা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। মাদকচক্র আর সন্ত্রাসবাদী নেটওয়ার্কের এই অশুভ আঁতাত সমাজের নিরাপত্তার জন্য এক বড় হুমকি।
তদন্তে উঠে এসেছে যে গ্রেপ্তারকৃতরা কুরিয়ার পরিষেবার মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ মাদক সরবরাহ করছিল। প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক পরিষেবার সুযোগ নিয়ে অপরাধীরা এখন আরও চতুর হয়ে উঠছে। ভবেশ শাহের বিরুদ্ধে পূর্বে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো ও ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স-এর মামলা থাকা সত্ত্বেও সে এত বড় চক্র পরিচালনা করছিল, যা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারির ফাঁকফোকরকেও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।
এখন প্রয়োজন আরও শক্তিশালী গোয়েন্দা নজরদারি এবং কুরিয়ারসহ বাণিজ্যিক চ্যানেলের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ। পাশাপাশি, সমাজের প্রতিটি স্তরে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কারণ এই ধরনের মাদকচক্র কেবল তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করছে না, দেশের নিরাপত্তাকেও বিপন্ন করছে।
আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। তবে এর সঙ্গে সঙ্গে গোটা নেটওয়ার্ককে চিহ্নিত করে গুঁড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই কেবল পুলিশের কাজ নয়, সমাজের প্রতিটি নাগরিককে সচেতন এবং সক্রিয় হতে হবে। এই ঘটনাটি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল— এখনই ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।
