মানবিক প্রসাশন,গ্রামে গিয়ে শুনলেন অসহায় প্রতিবন্ধী বৃদ্ধের কথা। অসহায় প্রতিবন্ধী এক বৃদ্ধ খুরশেদ আলী। মালদহের চাঁচল-১ নং ব্লকের মতিহারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মতিপুর গ্রামের বাসিন্দা। ভিক্ষাবৃত্তি করে ছেলে-মেয়ে সহ তার সংসার চলে। শৈশব থেকেই প্রতিবন্ধী। বয়স প্রায় সত্তরের কোঠায়, তবুও বঞ্চিত বার্ধক্য ভাতা থেকে। এমনকি প্রতিবন্ধী ভাতা থেকেও বঞ্চিত রয়েছে ওই বৃদ্ধ। পঞ্চায়েত ও ব্লক দফতরে একাধিক বার আবেদন করেও ভাতা জোটেনি। থেকে বিকালঙ্গ তিনি। যৌবনে কোনরকমে দিনমজুরী করেই আটজন সন্তানকে মানুষ করেছে। চার মেয়ে। দুজন ছেলে ও দুজন মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেরা পৃথক।
বাকি চারজনকে নিয়ে কোনোরকমে দিন গুজরান করছেন। বাকি দুই ছেলের শারীরিক অবস্থা দুর্বল। ছোট ছেলের পায়ে অস্ত্রোপচার করে রড ঢোকানো রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,তাদের কোন চাষের জমি নেই। এমতাবস্থায় রেশনের চাল দিয়েই তাদের কয়েকদিন কেটে যায়। তরিতরকারির জন্য ভিক্ষাবৃত্তি করতে হয় খুরশেদকে। সোমবার প্রশাসনিক কাজে চাঁচলের এসডিও কল্লোল রায় ও বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য ওই গ্রামে গেলে ওই বৃদ্ধের হাতে অ্যালুমিনিয়ামের স্ট্যান্ড দেখে দাঁড়িয়ে তার দুর্দশার কথা শোনেন।
আরও পড়ুন – আর্জেন্টিনার ‘তিন তারা’ লোগো উন্মোচন
খুরশেদ আলী জানান, ২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যায় বাড়ির সমস্ত নথিপত্র জলে ডুবে হারিয়ে যায়। প্রতিবন্ধী শংসাপত্রটি খুইয়ে যায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত অফিস ও ব্লকে গিয়েও কোনো পাত্তা পায়নি। সকলেই আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্ত পাঁচ বছর কেটে গেলেও শংসাপত্র পাওয়া যায়নি। বার্ধক্য ভাতাও পাচ্ছিনা। রেশন ছাড়া সরকারি সমস্ত প্রকল্প থেকে বঞ্চিত রয়েছি। চাঁচল-১ নং ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য জানান, গ্রামেই ফর্ম দিতে আবেদন করানো হয়েছে। শীঘ্রই যেন শংসাপত্রটি নথিভুক্ত হয়, চেষ্টা চালানো হচ্ছে। মানবিক প্রসাশন