মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক বৃদ্ধা

মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক বৃদ্ধা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

উত্তর দিনাজপুর:- সন্তানেরা থাকলেও তারা কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন, দেখাশুনার কেউ নেই। বাড়িতে একাই নিঃসঙ্গ জীবনযাপনে মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন এক বৃদ্ধা। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া থানার ভোজপুরানিগছ গ্রামের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতা বৃদ্ধার নাম সনকা রায় ( ৭১) । মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চোপড়া গ্রামপঞ্চায়েতের ভোজপুরানিগছ গ্রামে নিজের দোতালা বাড়ির একতলায় ভাড়া দিয়ে দোতালায় একাই বসবাস করতেন সত্তরোর্দ্ধ বৃদ্ধা সনকা রায়। বৃদ্ধা সনকা রায়ের সন্তান সন্ততি থাকলেও তাঁরা কর্মসূত্রে বাইরেই থাকেন। বাড়িতে একাই থাকতেন ওই বৃদ্ধা। কিছুদিন আগে বাড়ির নীচের অংশ ভাড়া দেন। এক পরিবার ভাড়া থাকেন সেই বাড়ির নীচতলায়। অশীতিপর বৃদ্ধা মাঝে মধ্যেই অসুস্থ হলেও তাঁর দেখাশুনা করার মতো কেউ ছিলনা। সন্তানের বছরে এক দুবার এসে দেখে যেতেন তাঁদের মা’কে। বৃহস্পতিবার সকালে অনেকটা বেলা হয়ে যাওয়ার পর বৃদ্ধার কোনও সাড়াশব্দ না পাওয়ায় বাড়ির ভাড়াটিয়া কমলি সরকার দোতালার ঘরে গিয়ে শোবার ঘরে বৃদ্ধা সনকা দেবীর ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। সাথে সাথে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রতিবেশীদের জানালে ছুটে আসেন সনকা দেবীর প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় চোপড়া থানার পুলিশকে। প্রতিবেশীদের ধারনা নিঃসঙ্গ জীবনযাপনে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়েই সনকা দেবী এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠায়। মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা নাকি এর পেছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই মৃতা ওই বৃদ্ধার ভাড়াটিয়া পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চোপড়া থানার পুলিশ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top