মানসিক অবসাদে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা স্বামীর

মানসিক অবসাদে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা স্বামীর

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মানসিক অবসাদে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা স্বামীর। একমাত্র কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ায় মানসিক অবসাদে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্বামী। এমনই দাবি মৃতের পরিবারের। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকায়। মৃতের ঘর থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও। তাতে তিনি বেশ কিছু শেষ ইচ্ছের কথা এবং আবেদন জানিয়ে কিছু কথা লিখে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ, ফোনে মৃতের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত কোনও ‘সম্পর্ক’ তৈরি হয়েছিল। সপ্তাহখানেক আগে স্ত্রী তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাড়িতে চিঠি লিখে অন্যত্র চলে যান। এরপরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন স্বামী মানিক ভট্টাচার্য। তাঁকে পরিবারের লোকেরা বুঝিয়েছিলেন। কিন্তু শনিবার সকালে জানা যায় মর্মান্তিক ঘটনা।

আরও পড়ুন – আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস

দরজা বন্ধ করে ঘরের মধ্যেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন মানিক। তাঁর আত্মীয়রা সকালে ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় ঘরে ঢুকে দেখেন মানিকের ঝুলন্ত দেহ। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। মৃতের বৌদি জানান, এক সপ্তাহ আগে মানিকের স্ত্রী তাঁর সন্তানকে নিয়ে ডায়েরিতে লিখে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। সবাই মানিককে বোঝানোর পরেও স্ত্রী’র চলে যাওয়ার ব্যাপারটা সে সহ্য করতে পারেনি। তাঁর ৮ বছরের একটি মেয়ে আছে।

 

পারিবারিক অশান্তি হতো। কিন্তু বোঝা যেত না। ওর স্ত্রীর ফোনে কারও সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল। প্রতিদিনই মানিক সকাল সাড়ে নটা থেকে দশটার মধ্যে অফিসে বেরতো। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ঘর থেকে না বেরলে সন্দেহ হয়। দরজায় ধাক্কা দিয়ে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। উপরন্তু ভিতর থেকেও তালা দেওয়া ছিল। জানালা ছিল বন্ধ। এরপর প্রতিবেশীদের ডাকা হয়। দরজা খুলে দেখা যায় ঝুলন্ত অবস্থায় তিনি রয়েছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top