ন্ত্রাসমুক্ত এলাকা তৈরি করা এবং সিন্ডিকেট রাজ মুছে ফেলাই এখন প্রধান লক্ষ্য ইংরেজবাজার পুরসভা ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী দুলাল সরকারের ওরফে (বাবলা)। শুক্রবার পুরো নির্বাচনের শেষ বেলার প্রচারে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী দুলাল সরকার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এলাকার মাফিয়া রাজের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।
এদিন শতাধিক দলীয় কর্মীদের নিয়ে শুরু হয় তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে এই রেলি। রেলিতে মহিলাদের সংখ্যায় ছিল বেশি। সকলের মাথায় ছিল তৃণমূলের প্রতীকী দেওয়া টুপি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ছবি দেওয়া গেঞ্জি। এখন এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী দুলাল সরকার।
উল্লেখ্য , ইংরেজবাজার পুরসভার আভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত ২২ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে যেমন রয়েছে রেলের ডিজেল সেড, পণ্যবাহী মালগাড়ির রেক পয়েন্ট, মালদা টাউন স্টেশন বহুতল আবাসন, একাধিক বহু তারা হোটেল এবং চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ী অসংখ্য মানুষের বসবাস। দীর্ঘদিন ধরেই ২২ নম্বর ওয়ার্ডে সিন্ডিকেট রাজের অভিযোগ উঠে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে।
একদিকে রেলের মাল গাড়ি রেট পয়েন্টের থেকে তোলাবাজির অভিযোগ যেমন দীর্ঘদিন ধরে উঠে আসছিল। ঠিক তেমনভাবেই এলাকায় মাটি মাফিয়াদের সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। আর সেই দিকে বিশেষ করে গুরুত্ব দিয়েছেন এবারের তৃণমূল প্রার্থী দুলাল সরকার । নির্বাচনে জয়ী হয়ে এলাকায় কোনো রকম সিন্ডিকেট রাজ চলতে দেওয়া হবে না বলে এদিনের নির্বাচনী প্রচারের মাধ্যমে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দুলাল সরকার।
আর ও পড়ুন শেষ দিনে শেষ প্রচার জমে উঠেছে শাসক-বিরোধী
দুলাল সরকার ওরফে (বাবলাবাবু ) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বাদ যায় নি ২২ নম্বর ওয়ার্ড। আমি ইরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান থাকাকালীন পরিস্রুত পানীয় জল, ঝকঝকে রাস্তা সবটাই হয়েছে। তবে বিগত দিনে এখানে যিনি কাউন্সিলর ছিলেন তিনি বরাবরই এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরী করে এসেছেন। গুন্ডা রাজ কায়েম করার চেষ্টা চালিয়েছেন।
কিন্তু এবারে মানুষ আমাকে এই ওয়ার্ডে চেয়েছে। রাজ্য নেতৃত্ব আমাকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল দলের প্রার্থী করেছে। নির্বাচনে জয়ী হয়ে আমার প্রথম কাজ হবে এই এলাকা থেকে সিন্ডিকেট রাজ সরিয়ে ফেলা। নির্বাচনী প্রচারে সাধারণ মানুষ দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করছেন। এদিনও বিশাল একটি রেলি করা হয়েছে। রাস্তার দু’ধারে বহু মানুষ দাঁড়িয়ে থেকে মানুষ উলুধ্বনি শঙ্খ বাজিয়ে তৃনমূলের জয়জয়কার করেছেন।