মায়ানমার – একের পর এক ভূমিকম্প। একাধিকবার আফটারশক। শুক্রবার সকালে মায়ানমারে পরপর ভূমিকম্প হয়। কম্পনের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৭। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৭০০ ছুঁইছুঁই। সরকারিভাবে জুন্টা সরকার জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ৬৯৪। আহত অন্তত ১,৬৭০। জানা গেছে অন্তত ১৫ বার কম্পন অনুভূত হয়।
তার মধ্যে সর্বোচ্চ কম্পন ছিল ৭.৭ মাত্রার। আর আফটারশক অনুভূত হয়েছে ১৪টি। দেশের বিস্তীর্ণ অংশে চলছে উদ্ধারকাজ। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা। মার্কিন জিওলজিক্যাল সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, মায়ানমারের মান্দালয়ে ভূমিকম্পের উৎস ছিল। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি নীচে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল।ইতিমধ্যেই মায়ানমারে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করেছে সেনা-সরকারের প্রধান মিন আং হলাইং। সকল দেশ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে সাহায্য চেয়েছেন তিনি। কম্পনের আঁচ পড়েছে থাইল্যান্ডেও। সেখানে একটি নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে আটকে পড়েন ১১৭ জন। মৃত্যু হয়েছে আট জনের। ব্যাঙ্ককে নির্মীয়মাণ ৩০ তলা ভবন ভেঙে পড়েছে জোরালো কম্পনের ফলে।
জানা গেছে ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী নেপিদ। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে মায়ানমারের বিস্তৃত এলাকার বাড়িঘর, স্মৃতিসৌধ, মসজিদ। উপড়ে গিয়েছে শয়ে শয়ে গাছ। ফাটল ধরেছে রাস্তায়, সেতুতে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, মোবাইলের টাওয়ার। বহু এলাকা যোগাযোগবিচ্ছিন্ন।
নেপিদের হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়েছে ভিড়।
এই পরিস্থিতিতে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ১৫ টন ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, কম্বল, খাবার, জল, সোলার ল্যাম্প, জেনারেটর সেট সহ অত্যাবশ্যকীয় ওষুধপত্র। শনিবার ভোরে উত্তরপ্রদেশের হিন্ডন বায়ুসেনা স্টেশন থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার সি১৩০জে বিমান মায়ানমারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।
