মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা এক যুবকের। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনী থানার ভাদুতলা এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে ভাদুতলা এলাকার বাসিন্দা প্রায় 30 বছর বয়সী সন্তু হাজারী নামে এক যুবক তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে বটি দিয়ে নিজের বাম হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বিষয়টি তাঁর পরিবারের লোক জন দেখার পর রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত তাকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করে।
আর ও পড়ুন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রাণের ইছামতীর পাড়ে নববর্ষ পালন
তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে রেফার করা হয়। ওই যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার পরিবারের লোকেরা তাকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাদুতলা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই যুবকের ভাই মান্তু হাজারী বলে দাদা ঘরে কোন কাজ করত না।
এমনি ঘুরে বেড়াতো । কেউ কোনদিন ওকে কিছু বলেনি। আচমকা শনিবার সন্তু তার মায়ের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে । সেই সময় বাড়ির সবার অলক্ষ্যে সবজি কাটার বটি দিয়ে নিজের বাম হাতের শিরা কেটে ফেলে। যার ফলে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না ।খবর পেয়ে দ্রুত বাড়ি গিয়ে দাদাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করি । কিন্তু দাদার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনা কেন সে ঘটাল তা বুঝতে পারিনি বলে মানতু হাজারী জানায় ।