মায়ের সামনেই ছেলের গলায়-পেটে একাধিক কোপ-রক্তাক্ত শরীর! প্রতিবেশীকে বড় সাজা আদালতের

মায়ের সামনেই ছেলের গলায়-পেটে একাধিক কোপ-রক্তাক্ত শরীর! প্রতিবেশীকে বড় সাজা আদালতের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মধ্যপ্রদেশ – মায়ের সামনে ছেলেকে নির্মমভাবে খুন করার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। যাবজ্জীবন কারদন্ডের পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর জেলেই থাকতে হবে ওই ব্যক্তিকে।সূত্রের খবর, ২০২২ সালে মায়ের সামনেই ফজল ইমামকে গলায় কোপ মেরে নির্মমভাবে খুন করেছিল ফজলেরই প্রতিবেশী সোনু।মৃত ফজল ইমাম হিরাপুর থানার বার্নপুরের রহমতনগরের চর্বি এলাকার বাসিন্দা। সোনুও ওই একই এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, ওই বছর ১৮ জানুয়ারি মা মহেজ্জাবিন খাতুনের সামনেই ফজলের পেটে ও গলায় ছুরির কোপ মারে সোনু। ঘটনাটি চোখের সামনে দেখে চিৎকার করেন ফজলের মা মহেজ্জাবিন খাতুন। তাঁর চিৎকার শুনেই ছুটে আসে প্রতিবেশীরা। তাঁরাই গুরুতর জখম অবস্থায় ফজল ইমামকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতলে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।



ফজলকে আক্রমণ করেই স্কুটি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল সোনু। এরপরেই ফজলের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পরে সোনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।জানা গিয়েছে, ফজলের মা ছাড়াও আরও ২জন এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তিনজনই এই মামলায় আদালতে সাক্ষি দিয়েছেন। কীভাবে ফজলের ওপরে আচমকা আক্রমণ চালানো হয়েছিল তা আদালতে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। নির্দিষ্ট সময়ে পুলিশ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে। তারপর থেকে জেলেই ছিল অভিযুক্ত সোনু। তাকে জেল হেফাজতে রেখেই এই মামলার বিচার হয়েছে।
অবশেষে ছেলের খুনি শাস্তি পাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন মা মহেজ্জাবিন খাতুন। দুঃখ করে জানিয়েছেন, দোষী শাস্তি পাওয়ায় তাঁর ছেলে বিচার পেয়েছে। কিন্তু ছেলেকে আর ফিরে পাবেন না। সেই যন্ত্রণা বুকে নিয়েই বেঁচে রয়েছেন। নিজের চোখের সামনে ছেলেকে খুন হতে দেখার কথা মনে করলেই চোখে ফুটে ওঠে আতঙ্ক।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top