‘মারের বদলা মার’ কেই একমাত্র পথ হিসাবে ঘোষণা করলেন বিধায়িকা প্রিয়া পাল

‘মারের বদলা মার’ কেই একমাত্র পথ হিসাবে ঘোষণা করলেন বিধায়িকা প্রিয়া পাল

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

সাঁকরাইল বিধানসভাতে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ‘মারের বদলা মার’ কেই একমাত্র পথ হিসাবে ঘোষণা করলেন বিধায়িকা প্রিয়া পাল। সোমবার সাঁকরাইল চাঁপাতলার সামনে একটি পথসভা থেকে এই নির্দেশ তিনি দেন তার দলের কর্মী ও সমর্থকদের। তার বক্তব্যকে ঘিরে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরী হয়েছে জেলা শাসক দলের অভন্তরেই। গত রবিবার সিপিএমের পথ সভাতে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে।

 

সিপিএমের কর্মীদের অভিযোগ, বিধায়িকা নিজে দাঁড়িয়ে ওই হামলার নেতৃত্ব দেন। অনেক কর্মীকে মারধর করা হয়। এতে আহত হয় বেশ কয়েকজন। সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে যেকোনো বিরোধী দলের সভামঞ্চ থেকে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদেরকে ‘চোর’ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। সেদিন একই ঘটনা ঘটে সাঁকরাইল পোলের পথসভা থেকেও। যদিও সিপিএমের কর্মীরা আহত হন নি। বরং মুরগির রক্তে আলতা মিশিয়ে তারা নাটক করছে বলেই দাবি বিধায়িকার।

 

পাশাপাশি তিনি আরো দাবি করেন হাওড়া হাসপাতালে ওই নাটক করেই ভর্তি হয়েছেন সিপিএমের কর্মীরা। বরং দৌড়ে পালাতে গিয়েই আহত হওয়ার তত্ত্ব তিনি সামনে আনেন। পাশাপাশি বিরোধীদের যেখানে সভা হবে সেখানেই পাল্টা সভা করতে নির্দেশ ও ‘মারের বদলা মার’ এই নিদানও দেন বিধায়িকা। যদিও এই মন্তব্য গণতন্ত্রের পক্ষে দুভাগ্যজনক বলেই আখ্যা দেন হাওড়া সদর বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সঞ্জয় চক্রবর্তী। তিনি জানান ৩৪ বছর বাম অপশাসনের অত্যাচারের জ্বালা এখন কেউ মেটাতে পারে। তবে ভারতীয় জনতা পার্টি এই নীতিতে বিশ্বাস করে না।

 

তবে যদি তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা এটা ভেবে থাকেন ‘মারের বদলা মার’ তাহলে তিনি মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। হাওড়া জেলাতে যদি কোনো বিজেপি কর্মী শাসক দলের হাতে আক্রান্ত হয় তাহলে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরাও চুরি পরে বসে নেই বলেই তিনি শাসক দলকে হুঁশিয়ারী দেন। যদিও প্রিয়া পালের বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়ে হাওড়া জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান দিলীপ ঘোষ দাবি করেন ওনাদের নেত্রী গলায় দড়ি লাগিয়ে আত্মহত্যার নাটক করেছিল একসময়ে।

আরও পড়ুন – সিমেন্ট ও তুষের বস্তার নিচে অবৈধ সেগুন কাঠ পাচারের চেষ্টা,গ্রেপ্তার ৫

আর প্রিয়া পাল জানেন নাটকটা তাঁদের দলের লোকেরা ভালো করেন তাই তার পদ্ধতিও তার জানা আছে। যদি সমীর পাল নাটকই করেন তাহলে শেষক দলের কথায় চলে হাওড়া হাসপাতাল কেন ভর্তি নিলো। তিনি জানান তৃণমূল দলটা মাথা থেকে পারি অব্ধি চোর। তাই তারা জনগণকে পাহারা দিতে বলছেন। আগামী দিনে বৃহত্তর আনন্দলনের হুমকিও দেন তিনি। প্রসঙ্গত, বীরভূমের অনুব্রত মন্ডলের ঢাক, গুড় বাতাসার নিদানের পরে এখন নতুন করে ‘মারের বদলে মার’ নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরী হলো হাওড়া জেলা রাজনীতিতে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top