মালদহের বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ১০০টি পরিবার। এ যে উল্টো পুরাণ! এতদিন বিভিন্ন বিরোধীদল ছেড়ে শাসক দলে যোগ দেওয়ার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ভাগীদার হতে। কিন্তু বর্তমানে মালদহের বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রের গোলাপগঞ্জ, চরিঅনন্তপুর ও আকন্দবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় শতাধিক তৃণমূল নেতা ও কর্মী গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের টিকিটে জেতা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা ও তাঁর কিছু অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে।
দলত্যাগী নেতা-কর্মীরা জানান, “তৃণমূলের আমলে দলের নেতারা প্রতিটি জায়গায় কাটমানি খাচ্ছে। কাটমানি না দিলে কোনও সরকারি সুবিধা মিলছে না। আর এর থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তৃণমূলের নীচতলার কর্মীরা।
আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের এই ভাঙন তৃণমূল শিবিরকে চিন্তায় ফেলবে বলে জেলার রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
আরও পড়ুন – পদ্মা পারের হাওয়ায় উত্তাল গঙ্গা পারের কলকাতা
যদিও বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, “ভোট এলেই এসব নাটক শুরু করে বিজেপি। নিজেদের লোক এনে বলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল। পরে ভোটের ফলাফল দেখলেই সব বোঝা যায়। এবারে পঞ্চায়েত ভোটেও তাই হবে। মালদহ জেলায় তৃণমূল যথেষ্ট শক্তিশালী।”
বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, প্রায় শতাধিক পরিবার এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ তৃণমূল থেকে এবং বাকিটা কংগ্রেস থেকে। তাদের কথায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এদিন এরা বিজেপির পতাকা তুলে নেন। এর পাশাপাশি, শাসক দলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী গ্রেফতারির বিষয়টিও তৃণমূলের নীচু তলার কর্মী ও সমর্থকদের উপর প্রভাব ফেলছে বলেও তাদের মত।