মালদা – নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক মৎস্যজীবী। অভিযোগ, নদীতে মাছ ধরতে গেলে দিতে হবে তোলা — এমনই ভয়ানক হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। তোলা না দেওয়ায় বন্দুকের বাট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার ভূতনী থানার বাগডোগরা এলাকায়, গঙ্গা নদীর মাঝখানে। ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত যুবকের নাম বিষ্ণু মাহাতো। তিনি পেশায় একজন মৎস্যজীবী এবং প্রতিদিন গঙ্গা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। অভিযোগ, রবিবার ভোররাতে বিষ্ণু নিজের নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গেলে অন্য একটি নৌকায় থাকা কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর নৌকা ঘিরে ধরে। তারা জোর করে টাকা দাবি করে এবং বলে, “তোলা না দিলে নদীতে মাছ ধরতে দেওয়া হবে না।”
বিষ্ণু মাহাতো অভিযোগ করেছেন, প্রতিবাদ করতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করা হয় মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে, এমনকি ধারালো অস্ত্র দিয়েও হামলা চালানো হয়। কোনোভাবে প্রাণে বাঁচতে নদী থেকে পালিয়ে গ্রামে ফিরে যান তিনি। পরিবারের লোকজনের সহায়তায় তাঁকে ভূতনী দিয়ারা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
আহত জেলের বাড়ি ভূতনী থানার হিরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বাঘেধনটোলা গ্রামে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা তাঁর মাছ ধরার জালসহ অন্যান্য সামগ্রীও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর বিষ্ণু মাহাতোর পরিবারের পক্ষ থেকে ভূতনী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
পরিবারের দাবি, নদীর মধ্যে মাছ ধরার নামে দুষ্কৃতীদের এই তোলা আদায়ের প্রথা বন্ধ হোক এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাটি তদন্তে নেমেছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।



















