মালদার গম্ভীরা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে মহিলা শিল্পীদের সহকারি প্রচার । মালদার প্রাচীন ঐতিহ্য গম্ভীরা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে মহিলা শিল্পীদের দল গড়ে সহকারি প্রচার শুরু করা হলো। এই প্রথম মালদা জেলার হবিবপুর ব্লকের আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের যাদবনগর গ্রামে তৈরি হয়েছে মহিলা শিল্পীদের গম্ভীরা দল । গম্ভীরা শিল্পীদের সরকারি ভাতা দেওয়া এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা মেলাতেই এই উৎসাহ বাড়ছে বলে দাবি করেছে হবিবপুরের ওই মহিলা শিল্পীদের।
আর গম্ভীরা গানের মাধ্যমে ঘরে বসে মহিলাদের লক্ষী ভান্ডার মেলা, দুয়ারে সরকার প্রকল্প সহ সরকারি একাধিক কর্মসূচি জনসমক্ষে তুলে ধরছেন মহিলা গম্ভীরা শিল্পীরা । উল্লেখ্য, আদিবাসী অধ্যুষিত হবিবপুর ব্লকের ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় রয়েছে যাদবনগর গ্রামটি । এই এলাকার গম্ভীরা শিল্পীরা বিগত দিনে রাজ্য এবং জাতীয় স্তরে তাদের ভূমিকা প্রদর্শন করে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন। পুরস্কৃত করা হয়েছে ওই এলাকার বিগত দিনের গম্ভীরা শিল্পীদের। আর এরই মধ্যে নতুন করে তৈরি হয়েছে মহিলা গম্ভীরা শিল্পীদের দল।
আর ও পড়ুন ইটভাটার ধোঁয়া থেকে মার খাচ্ছে মালদহে আমের ফলন
এক সময় পুরুষ দলের সাথেই গান গাইতেন ও অভিনয় করতেন কয়েকজন জন মহিলা শিল্পী। মহিলাদের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় তৈরি হয় সম্পূর্ণ মহিলা গম্ভীরা দল। তাদের অভিনয় ও গানে মুগ্ধ হয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি তালিকায় তাদের দলের নাম রেজিস্টার করা হয়েছে। বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার থেকে শুরু করে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নানান অনুষ্ঠানে গম্ভীরা গান গেয়ে সুনাম কুড়িয়েছেন মহিলাদলের শিল্পীরা। এখন অনেকটাই খ্যাতি ছড়িয়েছে যাদবনগর মহিলা গম্ভীরা দলের।
দলের সদস্য সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বছরের বিভিন্ন সময়ে মিলছে গম্ভীরা গানের বরাত। বেশি সংখ্যক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে একটি দল ভেঙে দুটি দল তৈরি করেছেন তাঁরা। প্রতিটি দলের ১০ জন করে সদস্য রয়েছেন। একসময় পুরুষ শিল্পিদের বেঁধে দেওয়া গানে অভিনয় করতেন মহিলারা। তবে গত কয়েক বছর ধরে মহিলারা নিজেরাই গান বাঁধতে শিখেছেন। নিজেরাই নতুন নতুন গান বেঁধে তার সুর তোলেন। ঘরের কাজের ফাঁকে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘন্টা চলে মহরা।