মালদায় কেএলও -র সদস্যের পৈত্রিক সম্পত্তির খানিকটা অংশ জবর দখল করার অভিযোগ

মালদায় কেএলও -র সদস্যের পৈত্রিক সম্পত্তির খানিকটা অংশ জবর দখল করার অভিযোগ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মালদায় কেএলও -র সদস্যের পৈত্রিক সম্পত্তির খানিকটা অংশ জবর দখল করার অভিযোগ । তার আদর্শ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই নিজের পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর দোকান ঘরে শুরু করেছিলেন রোজগার। তিনি মালদার কেএলও সংগঠন ছেড়ে আসা প্রাক্তন এক সদস্য।কিন্তু বিধি বাম।কারণ, তারই পৈত্রিক সম্পত্তি খানিকটা অংশ ও এবং রাস্তার ধারে সরকারি জায়গা ঘিরে জবর দখল করার অভিযোগ ওঠে এলাকারই দুই মাতব্বরের বিরুদ্ধে।

 

সূত্রের খবর,জনৈক ওই ব্যবসায়ীর নাম সতীশ রাজবংশী।তিনি তার নিজের এবং সরকারী জায়গা দখল করার বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নিজের দোকান ঘর দখল হয়ে যাবার অভিযোগ ও তিনি গাজোল থানায় লিখিতভাবে জানিয়েছেন। আর এই অভিযোগের ফলেই পাল্টা স্থানীয় দুই অভিযুক্ত সতীশ রাজবংশীর একটি সারের দোকান জোর করে বন্ধ করে দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।শুধু তাই নয়, তার দোকানের এক কর্মচারীকে মারধর করার ও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাজোল থানার আদিনা স্টেশন সংলগ্ন গোয়ালপাড়া এলাকায়।

আর ও পড়ুন      বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের প্রাণের ইছামতীর পাড়ে নববর্ষ পালন

এরপর উঠেছে গাজোল থানা কর্তৃপক্ষের ওপর অভিযোগ।কারণ,বারবার জানিয়েও পুলিশ নাকি কোন
প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ব্যবসায়ী। কিন্তু এবার , মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সমস্ত অভিযোগ জানানোর কথা জানিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। জানা গিয়েছে, জনৈক ওই সারের ব্যবসায়ী সতীশ রাজবংশীর অভিযোগ,”দীর্ঘ দুই দশক আগে কেএলও সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু সেই সংগঠন আমি ছেড়ে দিই মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে। নিজেই স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করি। তাই সরকারের সহযোগিতায় সারের ব্যবসার একটি লাইসেন্স পাই। গোয়ালপাড়া এলাকায় রাস্তার ধারে পৈতৃক সম্পত্তির ওপর দোকান করে ব্যবসা শুরু করি।”

 

এরপর সতীশ রাজবংশী আরও জানান, “কিন্তু সেই দোকানের সামনের খানিকটা জায়গা দখল করে কার্তিক মণ্ডল এবং দেবু মন্ডল নামে দুই জন জবরদখল করে। আমার দোকানের সামনে ওরা বেআইনিভাবে সরকারি জায়গায় বিল্ডিং গড়তে শুরু করে। এব্যাপারে গাজোল থানায় অভিযোগ জানাই। গত জানুয়ারি মাসের পর থেকে এই ঘটনা চলতে থাকল। পুলিশ প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমনকি কয়েকদিন আগে আমার দোকান ওরা বন্ধ করে দেয়। প্রতিবাদ করতে গেলে দোকানের এক কর্মচারীকে বেদম মারধর করে। তাই এই ঘটনার বিচার চেয়ে এখন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিত নালিশ জানানোর কথা ভাবছি।”

 

যদিও যাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ তাদের সঙ্গে কোনো রকম ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি বলেই জানা গিয়েছে। গাজোল থানার আইসির রণবীর বাগ ও এব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেন নি।তবে,মালদার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, “এরকম ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই গাজোল থানার পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top