মাল নদীতে মৃতের পরিবারের সাথে সাক্ষাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার বিকেলে মালবাজারে এসে গত ৫ই সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি মাল নদীতে হড়পা বানে মৃত তপন অধিকারী, স্বর্ণদ্বীপ অধিকারী, সুস্মিতা পোদ্দার, উর্মি সাহা ও শুভাশিস লাহাদের বাড়িতে এসে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সফর ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু ও জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষী দত্ত সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকেরা। এদিন বিকেলে বড়দীঘি হাইস্কুলে অস্থায়ী হেলিপ্যাডে সোমবার বিকেলে নামেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা মালবাজার এলাকা। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সোমবার বিকেলে হেলিকপ্টারে করে মালবাজারে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য এদিন হেলিপ্যাডের সামনে তৃণমূল নেতা কর্মীদের পাশাপাশি অসংখ্য উৎসাহিত মানুষের ভিড় দেখা যায়। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেখানে মাল নদীর দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের ডাকা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মালবাজারের দশ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত মৃত তপন অধিকারীর বাড়ি। পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকার পাশাপাশি সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন – নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে জেলে সিভিক ভলেন্টিয়ার
সোমবার নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী জলপাইগুড়ির মালবাজারে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে মালবাজারের তেসিমলায় অবস্থিত একটি রিসর্টে থাকবেন তিনি। প্রশাসনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মৃতের পরিবারদের। মুখ্যমন্ত্রীর সফর সূচির বাইরেই আচমকা এদিন বিকেলে সময় নষ্ট না করেই সরাসরি চলে জন মৃতের পরিবারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে।
যদিও সফরসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠক শেষে দেখা করার কথা ছিল মৃতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তবে সেটা না করে আজই হেলিকপ্টার থেকে নামার পর রিসোর্টে না গিয়ে সোজা চলে যান মৃতের পরিবারদের বাড়িগুলোতে। আগামীকাল দুপুর ১ টার সময় মালবাজার প্রশাসনিক বৈঠকে মৃতের পরিবারদের ডাকা হয়েছে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রী কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগ্রে দেন এক মৃতের পরিবার। সরাসরি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলে দেন। হড়পা বানে মৃত্যুর জন্য নদীতে যে বাঁধ দেওয়া হয়েছিল, সেই বাঁধকেই দায়ী করেন মৃতের পরিবার।