মাশরুম চাষেই লক্ষ্মী লাভ বাপন বিশ্বাসের

মাশরুম চাষেই লক্ষ্মী লাভ বাপন বিশ্বাসের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মাশরুম চাষেই লক্ষ্মী লাভ বাপন বিশ্বাসের। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের খাদ্য তালিকায় মাশরুমের স্থান একদম ওপরের দিকে। একধারে মাশরুম যেমন ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে তেমনি বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি, ডি,কপার,আয়রন,পটাশিয়াম ও সেলেনিয়াম। এছাড়া মাশরুমে কোলিন নামক একটি বিশেষ পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়, যা পেশীর সক্রিয়তা ও স্মৃতিশক্তি বজায় রাখতে খুবই উপকারী।

 

মাশরুম অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। দিন দিন এর চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উত্তরের জেলা গুলোতেও এই চাষ ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে । আর এই মাশরুম চাষ করেই আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হয়েছেন আলিপুরদুয়ার – কোচবিহার সীমান্তবর্তী পশ্চিম রামপুরের প্রগতিশীল মাশরুম চাষী বাপন বিশ্বাস। আবহাওয়ার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে তিনি প্রধানত ওয়েস্টার্ন প্রজাতির মাশরুম চাষ করেন। ৭ বছর আগে সামান্য পুজি নিয়ে শুরু করা মাশরুম চাষ আজ তাকে আর্থিক দিক থেকে সাবলম্বী করেছে। তবে শুরুর দিকটা এতটা মসৃণ ছিল না।

আরও পড়ুন – সিমেন্ট ও তুষের বস্তার নিচে অবৈধ সেগুন কাঠ পাচারের চেষ্টা,গ্রেপ্তার ৫

মানুষের খাদ্য তালিকায় এতটা জনপ্রিয় ছিল না মাশরুম। ফলত উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে তাকে খুবই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার ওপর ছিল এক প্রকার মাছির আক্রমণে ফসলের ক্ষতি। কিন্তু সেই সব কঠিন সময় কে পেছনে ফেলে নিষ্ঠা,সততা ও পরিশ্রম কে মূলধন করে আজ সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। এখন দৈনিক প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ কেজি মাশরুম তিনি বিক্রি করেন। লকডাউন এর আগে প্রতিবেশী দেশ ভুটানে তিনি মাশরুম পাঠাতেন।

 

কিন্তু ভুটান বন্ধ থাকায় পার্শ্ববর্তী অসম রাজ্যে তিনি এখন তার উৎপাদিত পণ্য পাঠাচ্ছেন। বাপন বাবুর বক্তব্য এই চাষে কায়িক পরিশ্রম একটু বেশি হলেও লাভের অঙ্কটা বেশ ভালো। কেউ যদি ২৫০০০ টাকা মূলধন নিয়ে শুরু করেন তাহলে তিন মাস পর প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘরে তুলতে পারবেন। তার আরও পরামর্শ নির্দ্বিধায় সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এই চাষ যে কেউ ই করতে পারেন। রাজ্য সরকারের তরফ থেকেও মাশরুম চাষীদের চাষ সংক্রান্ত বিভিন্ন সহায়তা,পরামর্শ ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। মাশরুম চাষেই

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top