মাষ্টার প্ল্যান জমা দিতে পারেনি বিজেপির পাঁচ বিধায়ক

মাষ্টার প্ল্যান জমা দিতে পারেনি বিজেপির পাঁচ বিধায়ক

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মাষ্টার প্ল্যান জমা দিতে পারেনি বিজেপির পাঁচ বিধায়ক। জেলা প্রশাসনের কাছে বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলের টাকা ঢুকলেও এখনও পর্যন্ত জেলার উন্নয়নে কোন মাষ্টারপ্ল্যান জমা দিতে পারেনি আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপির পাঁচ বিধায়ক। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের তহবিলে জেলার পাঁচ বিজেপি বিধায়কের নিজস্ব এলাকার উন্নয়নের জন্য ৩০ লাখ টাকা করে ঢুকলেও সেই টাকা এখনও জেলা প্রশাসনের তহবিলেই পড়ে আছে।

 

পদ্মফুল শিবিরের পাঁচ বিধায়কের কেউই এখনও জেলা প্রশাসনের কাছে কোন অ্যাকশন প্ল্যান জমা না দিতে পারায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ময়দানে নেমে পড়েছে। শাসক দল তৃণমূলের কটাক্ষ, বিজেপি’র জনপ্রতিনিধিরা ঠুঁটো জগন্নাথ।তারা অ্যাকশন প্ল্যান,কিংবা মাষ্টারপ্ল্যান খায় না মাথায় দেয় তাই জানেনা। কিভাবে জেলার উন্নয়ন করবে বিজেপির পাঁচ বিধায়ক তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে তৃনমূল নেতারা অন্যদিকে জেলার উন্নয়ন নিয়ে বিজেপির পাঁচ বিধায়কের বক্তব্য আমাদের কাজ করতে দেবেনা রাজ্যের শাসকদল ও প্রশাসন।

 

আমরা জেলার মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে তৃনমূল ও প্রশাসনের সাহায্য চাইছি। ডিস্ট্রিক্ট প্ল্যানিং অফিসার সুমন বাগদাস বলেন, জেলার পাঁচ বিধায়কের তহবিলে ৩০ লক্ষ করে দেড় কোটি টাকা এসেছে। ওই টাকা ট্রেজারীতে রাখা আছে। কিন্তু পাঁচ বিধায়কের কেউই তাঁদের কাজের অ্যাকশন প্ল্যান জমা দেননি। বিধায়কদের অ্যাকশন প্ল্যান জমা দিতে বলা হচ্ছে। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি’র বিধায়করা অ্যাকশন প্ল্যান জমা দেবেন কি করে তাঁরা তো জানেন না কিভাবে উন্নয়নের কাজ করত হয়। বিজেপি’র পাঁচ বিধায়ক তো করোনা পরিস্থিতিতে ভয়ে বাড়ির বাইরে বেড় হননি। করোনাকালে বিজেপি বিধায়করা তো আগেও মানুষের পাশে ছিল না, এখনও তাঁরা মানুষের পাশে নেই।

আরও পড়ুন – চাকরি ফিরে পাচ্ছেন শিক্ষকেরা।

কাজেই বিজেপি বিধায়করা উন্নয়নের কাজই করতে পারবেন না। কুমারগগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক মনোজ বলেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে আমি মাষ্টারপ্ল্যান জমা দিতে পারিনি। সময়মতো মাষ্টারপ্ল্যান জমা দেব। বিজেপি’র আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, জেলায় বিধায়ক তহবিলের টাকা ঢুকেছে কিনা প্রশাসন আমাদের তা জানায়নি।আমরা অবশ্যই নিজেদের এলাকার উন্নয়নের জন্য প্রশাসনের কাছে অ্যাকশন প্ল্যান জমা দেব।

 

আমাদের দাবি, প্রশাসন ও তৃণমূল যেন অবশ্যই বিধায়কদের উন্নয়নের কাজে সহযোগিতা করে। এবার বিধানসভা ভোটে জেলার পাঁচটি আসনের পাঁচটিতেই জিতেছিল গেরুয়া শিবির। সেখানে শাসক দল তৃণমূল একটি আসনেও খাতা খুলতে পারেনি। কিন্তু জিতলেও করোনা পরিস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে বিধায়কদের কাউকেই করোনাকালে মানুষের পাশে সেভাবে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। ঠিক এই আবহে বিজেপি’র পাঁচ বিধায়ক তাঁদের বিধায়ক তহবিলের টাকা কিভাবে, কোথায় ও কোন কাজে খরচ করবেন তা নিয়ে এখন থেকেই জেলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা কল্পনা তৈরি হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top