নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, ২৩ মার্চ, জেকলহানে কোনও দোকানে মিলছে না স্যানিটাইজার ও মাস্ক সেখানে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে বিনামূল্যে মিলছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। খবর ছড়িয়ে পড়তেই সোমবার বেলার দিকে ভিড় আছড়ে পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে।করোনাভাইরাসের আতঙ্কে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে।কিন্তু মানুষ হন্যে হয়ে ঘুরেও দোকানে স্যানিটাইজার পাচ্ছেন না।আর এই পরিস্থিতিতে ভগবানপুর যুব সংঘ ঘোষণা করেন, অটো, টোটো, ট্রেকার, পথচলতি- সহ স্থানীয় মানুষদের ‘মাস্ক’ ও ‘স্যানিটাইজার’ দেওয়া হবে।ওই খবর পাওয়ার মুহূর্তের মধ্যেই শয়ে শয়ে মানুষ ভীড় করেন ভগবানপুর বাসস্ট্যান্ডে।আর সেই ভিড় সামাল দিতে স্থানীয় বাজারের মধ্যে রীতিমতো ঘামতে শুরু করেন সংগঠনের কর্মীরা।
আয়োজক সংস্থার সম্পাদক সফিউল্লা মল্লিক বলেন, “এই মাস্ক ও স্যানিটাইজার বহু কষ্ট করে আনা হয়েছে।সবাই যাতে পান তাই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।” কিন্তু হঠাৎ করে এত মানুষের জমায়েত স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা উঠেছে শিকেই।সেখানে অধিকাংশ মানুষের মুখে নেই মাস্ক।স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্নও উঠে গিয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, “এত ভিড় হবে ভাবতেই পারিনি।নূন্যতম সচেতনতা নেই এখানে।” এত ভিড় প্রসঙ্গে সংগঠনের সম্পাদক সফিউল্লা মল্লিক বলেন, “এত ভিড় হয়ে যাবে ভাবা যায়নি।তবে করোনাভাইরাস প্রতিহত করতে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী পথচারী, অটো, টোটো, ট্রেকার, বাসযাত্রীদের এবং এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করা হয়েছে।”
ভগবানপুর-১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক স্নেহা রায় বলেন, “সবাইকে নিরাপদ দূরত্ব (৬ ফিট্) বজায় রাখতে হবে।যাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ১৪ দিন বাড়ির মধ্যে থাকতেই হবে।সর্বোপরি মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে।” কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভগবানপুরের ওসি প্রণব রায়, সংস্থার সভাপতি শেখ মুরাদ আলি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক শেখ রজব আলি, বিশিষ্ট সমাজসেবী জালালুদ্দিন মল্লিক, অভিজিৎ দাস প্রমুখ। তবে ভিড়- লাইন- ধাক্কাধাক্কির মধ্যেও অবশ্য যুদ্ধ জয়ের হাসি বহু মানুষের মুখে।