মায়ের ব্যাটন নিজের হাতে তুলে নিলেন জেলার একমাত্র মহিলা মৃৎশিল্পী গৌরী সাহা। মায়ের ব্যাটন এখন মেয়ের হাতে। গোত্র বদল হলেও পাল পাড়ায় বাবা, মায়ের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে প্রতিমা গড়ছেন জলপাইগুড়ির গৌরী সাহা। বাবা ছিলেন মৃত শিল্পী। ১৯৮২ সালে চতুর্থীর দিন কারখানায় অসমাপ্ত প্রতিমা রেখে প্রয়াত হন মৃৎশিল্পী গোপাল পাল।
নাবালক চার মেয়ে আর এক ছেলেকে কোলে নিয়ে পর দিনই পরিস্থিতির চাপে রঙ, তুলিতে হাত লাগিয়ে ছিলেন স্ত্রী সুমতি পাল।এরপর দীর্ঘ আটত্রিশটা বছর জলপাইগুড়ি শহরের ভাটিয়া বিল্ডিং এ স্বামীর কারখানায় দিনের বেশির ভাগ সময় কেটেছে সুমতি দেবীর। জেলার একমাত্র মহিলা মৃৎশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন একাধিক সম্মান। তিন বছর আগে প্রয়াত হন সুমতি পাল। এর পর কে? প্রশ্ন টা উঠে ছিলো জলপাইগুড়ির পাল পাড়ায়।মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে, ছেলেও অন্য পেশায় ব্যস্ত। এই অবস্থায় বাবা মায়ের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এলেন মেয়ে গায়ত্রী। মায়ের সাথে সময় পেলেই শ্বশুর বাড়ি থেকে এসে প্রতিমা গড়ায় হাত লাগাতেন গায়ত্রী দেবী।
আরও পড়ুন – স্কুল ড্রেস পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল বিদ্যালয় প্রাক্তনী যৌথ মঞ্চের
কাজে দিল সেই শিক্ষা, আপত্তি তোলেন নি শ্বশুর বাড়ির লোকজনও। মা কে উৎসাহ দিতে এগিয়ে এসেছেন ছেলে সুমন সাহাও। জলপাইগুড়ির এই মুহূর্তে একমাত্র মহিলা মৃত শিল্পী গৌরী দেবী। দুবছর ধরে প্রতিমা বানাচ্ছেন। পরিচিতিই পেয়েছেন ইতিমধ্যেই। এই বছর আটটি দূর্গা প্রতিমা তৈরি করছেন গৌরী দেবী। জানান যতদিন শরীর সঙ্গ দেয় প্রতিমা বানিয়ে যাবেন।কিন্তু তার পর!সেই প্রশ্নের আর উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না গৌরী দেবী।