মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে আবারো সরব মুখ্যমন্ত্রী। আবারো সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। ওয়েস্ট বেঙ্গল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ জুড়িডিক্যাল সায়েন্সের ১৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমি জানিনা এটা সঠিক মঞ্চ কিনা, কিন্তু এখন যা চলছে সেটা নিয়ে আমি বলতে চাই। এখন বিচারের আগেই মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়ে যাচ্ছে। আদালতের রায়দান করার আগেই আজকাল সংবাদ মাধ্যম রায় শুনিয়ে দিচ্ছে।
এভাবে অকারনে মানুষের সম্মানহানি করা হচ্ছে। তাছাড়াও এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দেশ ক্রমশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগিয়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র বিচার ব্যবস্থায় গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারে।
এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য উদয় উমেশ ললিত, তাছাড়াও বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব , তাছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে বহু বিশিষ্ট জনের উপস্থিতি ছিল।
আরও পড়ুন – উৎসবের মেজাজে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে “ছট” বন্দনা
সকলের উপস্থিতিতেই বিচার ব্যবস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্যার, সম্মানী আমাদের একমাত্র অবলম্বন। সেটা যাওয়া মানে সব চলে যাওয়া। একবার সম্মানহানি হলে, তা কখনো আর ফেরত আসে না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন তাই বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত সকলকে বলবো দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো যেন বজায় থাকে দেখবেন। সেইসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রশংসাও করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , বিচারপতি ললিত দায়িত্ব নেওয়ার পর গত দু’মাসে বিচার বিভাগের সক্রিয়তা বেড়েছে।
নিউটাউনে বিশ্ব বাংলার কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন আজকের আইনের পড়ুয়ারা, ভবিষ্যতে বিচারকের আসনে বসবেন। চিকিৎসকদের মতোই এটাও একটা নোবেল পেশা। আরো মানুষের এই পেশায় এগিয়ে আসা উচিত। বিপদে পড়ার পর যখন মানুষের সমস্ত আশা শেষ হয়ে যায় তখনই মানুষ আদালতের দরজার কড়া নাড়ে। আদালত আমাদের কাছে মন্দির মসজিদ গির্জা। সর্বোচ্চ দেশের শান্তি বজায় রাখতে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশ্ব বাংলার কনভেশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এমনই মন্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।