রাজ্য- মিড ডে মিলের রান্নার খাবারের গুণগত মান নিয়েই ইতিপূর্বে সামনে এসেছে একাধিক অভিযোগ। কখনও খাবারের মধ্যে আরশোলা কিংবা অন্যান্য পোকামাকড় পড়ে থাকার অভিযোগ উঠেছে। তো কখনও প্রশ্ন উঠেছে নিন্ম মানের খাদ্য উপকরণ নিয়েও। তবে এবার সামনে এল আরও এক গুরুতর অভিযোগ।সম্প্রতি স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। তখনই তাদের নজরে আসে মিড ডে মিলের রান্নাঘরের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছে রাস্তার কুকুর।
কোথাও কোথাও আবার সকলের নজর এড়িয়ে ওই সমস্ত কুকুর রান্নাঘরে ঢুকে পড়ছে এবং পড়ুয়াদের জন্য তৈরি মিড ডে মিলের খাবারে মুখ দিচ্ছে। না জেনে সেই খাবার খেয়ে বিষক্রিয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দপ্তর। জানা যাচ্ছে,এই ব্যাপারে শিক্ষা দপ্তরের কাছে রিপোর্টও জমা পড়েছে।
মিড ডে মিলের রান্নাঘরে যাতে কোনোভাবেই আর কুকুর ঢুকতে না পারে তার জন্য সতর্ক থাকার কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। শিক্ষা দপ্তরের তরফে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে মিড ডে মিলের খাবার জায়গাগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া পথ কুকুরদের থেকে সতর্ক থাকার জন্য কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গ সর্বশিক্ষা মিশন।
সম্প্রতি ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস’-এর সুপারিশ মেনে স্কুলের পড়ুয়াদের সুরক্ষার জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নয়া বিজ্ঞপ্তি অনুসারে এবার স্কুলের শিক্ষকদের দায়িত্ব বাড়ছে আরও। কিন্তু স্কুলের এত কাজ সামলানোর পর এই বাড়তি দায়িত্ব এসে পড়ায় সরব হয়েছেন শিক্ষক মহলের একাংশ। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, অনেক জেলার স্কুলেই পাঁচিল নেই কিংবা স্কুলের গেটে দারোয়ানও থাকে না। অভিযোগ উঠছে, গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে কোথাও কোথাও ক্লাসের সময় কুকুর,গরু চরে বেড়াতে দেখা যায়। তাই শিক্ষকদের কাঁধে এই বাড়তি দায়িত্ব চাপিয়ে আদৌ সমস্যার সমাধান হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে শিক্ষামহলে।
