রাজ্য – স্কুলের মিড-ডে মিলে এবার নতুন চমক। সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে জারি হওয়া নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, সবজির পাশাপাশি যেসব স্কুল প্রাঙ্গণে পুকুর রয়েছে বা পুকুর খননের সুযোগ আছে, সেখানে মাছ চাষ করতে হবে এবং সেই মাছ মিড-ডে মিলে পরিবেশন করা হবে। ইতিমধ্যেই অনেক স্কুলেই মিড-ডে মিলের জন্য স্কুলের জমিতে সবজি চাষ করা হয় এবং তা পড়ুয়াদের খাওয়ানো হয়। এবার থেকে সেই তালিকায় মাছও যুক্ত হতে চলেছে।
নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যেসব স্কুল প্রাঙ্গণে পুকুর রয়েছে সেখানে অবিলম্বে মাছ চাষ শুরু করতে হবে। আর যেসব স্কুলে পুকুর নেই কিন্তু খোলা মাঠ রয়েছে, সেখানেও খেলার মাঠ অক্ষুণ্ণ রেখে অবশিষ্ট জমিতে পুকুর খননের উদ্যোগ নিতে হবে। তবে মাছ চাষের খরচ কে বহন করবে, তা নিয়ে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে সমগ্র শিক্ষা মিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিষয়টি মাথায় রেখে মৎস্য দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। মৎস্য দপ্তর বিনামূল্যে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেয় এবং ছোট চারাপোনা সরবরাহ করে থাকে। এই সহযোগিতা স্কুলগুলিকে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা দপ্তর ও মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকদের মধ্যে শীঘ্রই বৈঠক হবে।
উত্তর ২৪ পরগনার কনকনগর সৃষ্টিধর ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করতে গিয়ে এই ধারণার সূত্রপাত হয়। সেখানে মিড-ডে মিলের মান যাচাই করতে গিয়ে পরিদর্শক দল লক্ষ্য করে যে স্কুলের নিজস্ব পুকুরে মাছ চাষ হয় এবং সেই মাছই পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলে পরিবেশন করা হয়। এই পদ্ধতি দেখে বিকাশ ভবনে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে যেসব স্কুলে পুকুর রয়েছে বা পুকুর খননের সুযোগ আছে, সেখানে মাছ চাষ শুরু করতে হবে।
মিড-ডে মিলের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হল স্কুল পড়ুয়াদের আরও সুষম ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা। বর্তমানে মিড-ডে মিলে ডিমকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে রাখা হয়েছে। মাছও সমানভাবে পুষ্টিকর হওয়ায় তা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, মিড-ডে মিলের মেনুতে মাছ যুক্ত হলে পড়ুয়াদের খাবারের স্বাদেও বৈচিত্র আসবে। তবে সব স্কুলেই যে মাছ চাষ সম্ভব, তা নয়; যেখানে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রয়েছে, সেই স্কুলগুলিকেই মাছ চাষ করতে বলা হয়েছে।
