অধ্যাপকরা মীরজাফর ! বিদ্যুতের নামে ফাঁস হওয়া অডিও ঘিরে চাঞ্চল্য বিশ্বভারতীতে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের মীরজাফরের সঙ্গে তুলনা ! ফাঁস হওয়া অডিও ঘিরে ফের বিতর্কে বিদ্যুৎ। সূত্রের খবর, শনিবার রাতে এই অডিও সামনে আসে। যেখানে নিজেকে ‘বিশ্বভারতীর উপাচার্য’ পরিচয় দিয়ে বলতে শোনা যাচ্ছে, বিশ্বভারতীর অধিকাংশ অধ্যাপিকা অধ্যাপক মীরজাফরের কাজ করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত এই ধরনের মীরজাফরদের কখনোই বিশ্বাস করা যায় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে সমস্ত রকম সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেই চক্রান্ত করছে কয়েকজন অধ্যাপক , এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় সম্ভব না। এই ধরনের মীরজাফরদের থেকে সাবধান থাকতে হবে বলে পরামর্শদান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এদেরকে বয়কট করতে হবে। উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই অধ্যাপক সংগঠন ভিবিউফা। ইতিমধ্যে সংগঠনের তরফ এ বিশ্বভারতীর কর্মসচিব কে একটি প্রতিবাদ পত্র পাঠানো হয়েছে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। সংগঠনের সদস্য অধ্যাপকদের দাবি , উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর এহেন মন্তব্য অসম্মানিত হয়েছে বিশ্বভারতীর সকল অধ্যাপক অধ্যাপিকা থেকে শুরু করে শিক্ষক অশিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ।
আরও পড়ুন – রানাঘাটে ‘মন কি বাত’ এ উপস্থিত হয়ে শাসক দলকে নিশানা দিলীপের
আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। শরীরের রক্ত জল করে দিনরাত্রি পরিশ্রমের মাপকাঠি না দেখে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রত্যেকটি কর্মী তার নিজস্ব দায়িত্ব পালন করেন , সেখানে উপাচার্যের তার অধঃস্তন কর্মীদের প্রতি মীরজাফর তকমা দেওয়া একেবার উচিত হয়নি। আশ্রমিক সুবোধ মিত্র জানিয়েছেন , গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে যদি ভবিষ্যতকে দেখার ক্ষমতা ঈশ্বর দিতেন তাহলে হয়তো তিনি বিশ্বভারতীর সৃষ্টি করতেন না। কারণ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মত একজন উপাচার্য যিনি দুর্নীতি দমনের নামে নিজের খামখেয়ালী তন্ত্র শুরু করেছেন তা অবিলম্বে শেষ হওয়া উচিত। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো দমন-পীড়নের শাসনব্যবস্থা চলে না , এখানে শ্রদ্ধা ভক্তি আত্ম মিলনের মধ্য দিয়ে গুরু ও শিক্ষকের সম্পর্ক বয়ে চলে। সে সম্পর্ক আজ পাতালে প্রবেশ করেছে।