মুক ও বধির হয়ে সংসার চালাতে নিজে কাসুন্দি বানিয়ে বিক্রি!

মুক ও বধির হয়ে সংসার চালাতে নিজে কাসুন্দি বানিয়ে বিক্রি!

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নদীয়া – মুক ও বধির হয়েও সংসারের হাল ফেরাতে রাস্তায় রাস্তায় নিজে কাসুন্দি বানিয়ে বিক্রি করছেন নদীয়ার ফুলিয়ার প্রফুল্লনগর এলাকার বাসিন্দা বলরাম সরকার। কথায় আছে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। সেই  রকমই নিজের সংসার বাঁচাতে এখন রাস্তায় রাস্তায় কাসুন্দি বিক্রি করছে বলরাম বাবু। জানাযায় বাড়িতে,প্রবল অর্থসংকট। আগে তিনি তাঁত শ্রমিক ছিলেন।তবে বর্তমানেই তাঁতের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সংসার বাঁচাতে আর পরিবারের মুখে দু মুঠো ভাত তুলে দিতে তিনি এই প্রখর রৌদ্রে সাইকেল চালিয়ে কাসুন্দি বিক্রি করছেন পাড়ায় পাড়ায়। একদিকে তিনি মুক ও বধির, সাধারণ মানুষের ভাষা বোঝেন না। তবে ইশারায় চলে ব্যবসা। বাড়িতে তার স্ত্রীও মুক ও বধির। তিনিও সাহায্য করেন বলরাম বাবুর কাসুন্দি তৈরিতে। তবে আরও দুজন সন্তান রয়েছে একজন বোনের বাড়ী থেকে মানুষ আর ছোট জন দশম শ্রেণীর ছাত্র, সে বাবা মায়ের সঙ্গেই থাকে। সাহায্য করে কাসুন্দি তৈরিতে। তবে কাসুন্দি বিক্রির পন্থা টাও একটু অন্য রকম, তাই নিজেই একটি কাগজে তার নাম, ঠিকানা, এবং কতো পরিমান কাসুন্দির কতো দাম তা লিখে সাইকেল চালিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন পাড়ায় পাড়ায়। এ বিষয়ে ক্রেতারা জানাচ্ছেন, দারুন সুস্বাদু এবং ভাল বলরাম বাবুর এই হোম মেড কাসুন্দি। বাজারে অনেক নামি দামি কাসুন্দি থাকলেও তারা প্রতিবছর বলরাম বাবুর এই কাসুন্দিই খেতে পছন্দ করেন। শেষ হয়ে গেলে তার আগেই আবার পাড়ায় এসে বাড়ী বাড়ী কাসুন্দি পৌঁছে দিয়ে যান বলরাম বাবু। তবে বলরাম বাবুর এই জীবন কে কুর্নিস জানান সকলেই। কথা বলে মানুষের মনে কত মানুষ জায়গা করে নিতে পেড়েছেন জানা নেই। তবে কথা না বলে মানুষের মনে দাগ কেটেছে বলরাম। তবে রাজ্য সরকারের প্রতিবন্ধী ভাতা পান বলরামবাবু এবং তার স্ত্রী, তারপর বাড়িতে নিজের হাতে তৈরী কাসুন্দি বিক্রির টাকা দিয়ে কোনরকমে চলে সংসার।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top