মুখ্যমন্ত্রী- প্রতি বছর ধুমধামে কালীঘাটের বাড়িতে ভাইফোঁটা পালন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে ফোঁটা নিতে সেখানে হাজির হন। এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবটি রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে বড় ইভেন্ট হিসেবেই গণ্য হয়।
গতবার ভাইফোঁটায় বিশেষ নজর কেড়েছিলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন রাজনীতির মূল স্রোত থেকে দূরে থাকার পরও বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলে তাঁর পুনরাগমন তখন পুরোপুরি সুগম হয়নি।
তবে এবছর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী নিজেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রশাসনের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় ফিরিয়ে এনেছেন। এনকেডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ায় শোভনের ওপর আস্থা প্রকাশ পেয়েছে। তাই এবার ভাইফোঁটার দিনে তাঁর উপস্থিতি নিশ্চিত বলেই রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে।
গতবারের ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়সহ দলের আরও বহু শীর্ষনেতা। এবছরও তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত বলে জানা গেছে।
তবে শুধু নিয়মিত অতিথিরাই নয়, এবারের ভাইফোঁটায় রয়েছে একাধিক নতুন চমক। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে কারা কারা উপস্থিত থাকবেন, তা নিয়ে তৃণমূল মহলে গুঞ্জন তুঙ্গে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এদিনের উপস্থিতি থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে।
ভাইফোঁটা উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতির নানা ঘটনা ও সম্পর্কের খেলা এখনও অনেকের নজর কাড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনরা এই উৎসবকে রাজনৈতিক বার্তার প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও ব্যবহার করেন।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এনকেডিএ চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে আলোচনার সূচনা হয়েছে, তিনি কি তৃণমূলের অন্দরমহলে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে চলেছেন?
এদিকে, এই ভাইফোঁটা উৎসবে দলীয় ঐক্য প্রদর্শন ও একতা বজায় রাখার পাশাপাশি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কৌশলও তৈরি হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতার এই আয়োজনে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পাশাপাশি নতুন মিত্রশক্তির সংযোগও হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে।
