মুখ্যমন্ত্রী কাণ্ডে কে এই হাফিজুল? সত্যিই কি মানসিক অসুস্থতা নাকি মানসিক অসুস্থতার মুখোশের আড়ালে অন্য এক মুখ বসিরহাটের হাসনাবাদ থানর আশারিয়া নারায়ণপুরের বস ৩০,এর যুবক হাফিজুল মোল্লা, স্ত্রী জেসমিনা বিবি, বাবা মনিরুল মোল্লা, মা সেলিমা বিবি, দাদা মইদ্দিন মোল্লা। গোটা পরিবারটাই বামপন্থী আদর্শে অনুপ্রেরণিত। ইদানিং কয়েক বছর আগে তৃণমূল করছে, গত ২৫ বছর ধরে গ্রাম সভা আসন কংগ্রেস দখল করে রেখেছিল সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে একটি ভালো জোট ছিল এলাকায়।
আস্তে আস্তে পায়ের তলা থেকে রাজনৈতিক বিচ্যুতি ঘটতে সক্রিয়ভাবে নয় পরোক্ষভাবে পরিবারটির তৃণমূলের সমর্থক। বাবা মনিরুল মোল্লা দীর্ঘদিনের সিপিএমের আদর্শে অনুপ্রাণিত হাফিজুলের পরিবার। জনসভা গেছেন এমনকি সিপিএম নেতৃত্ব দিয়েছেন।তার কথা থেকে উঠে এসেছে। হাফিজুল সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। তারপর বাড়িতে বসে বিড়ি বাধার কাজ, আবার কখনো রাস্তার পাইলিং এর কাজ করতো। হাফিজুলের পরিবারের সঙ্গে অশান্তি গন্ডগোল বাঁধিয়ে গত ছয় মাস আগে কলকাতায় চলে যাওয়া।
তারপর গাড়ি চালানো এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সমস্ত রহস্য। পরিবারের লোক মানসিক সমস্যার কথা বললেও তার চলাফেরা জীবন সংগ্রাম অন্য কথা বলছে এর মধ্যে আসল রহস্য লুকিয়ে রয়েছে,। ইতিমধ্যে ৭ দিনে পুলিশ হেফাজত নেওয়া হয়েছে এর আগেও নবান্নে ঢুকতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিল হাফিজুল ফের আবার কালীঘাটের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা বলায় ভেদ করে গভীর রাত্রে ঢুকে পড়া। গাড়ির পিছনে তারপর সাত ঘন্টা কাটানোর পর সকালবেলায় পুলিশের নজরে তারপর গ্রেফতার। সবটাই সময় যাতে যাচ্ছে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন – পঞ্চায়েত ভোটে রক্তের বদলে ঝরবে রক্ত, হুঁশিয়ারি দেবদাস মন্ডলের
পরিবারের লোক যতই দাবি করুক তার মানসিক সমস্যা আছে,?অন্য কোন রহস্য কেনই বা বারবার নবান্ন ও কালীঘাটে পৌঁছে যাওয়া,। আবার কখনো কালীঘাটের বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে। কঠোর নিরাপত্তা বলয় এড়িয়ে কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান কার্যালয় নবান্ন ও মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন হরিশ চ্যাটার্জি স্টিটে পৌঁছে যাওয়া। সত্যিই কি মানসিক অসুস্থতা সবকিছুই পূর্বপরিকল্পনা, ধন্দ্বে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। কেনইবা বারবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ছুটে যাওয়া,বড় মাথা কাজ করছে নাতো। এর পিছনে বড় কোন চক্র অর্থাৎ বড় মাথা কাজ করছে নাতো ইতিমধ্যে সিট গঠন করা হয়েছে পাশাপাশি কালীঘাটের বাড়ি ও নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার লালবাজার হাসনাবাদ থানা পুলিশ প্রায় প্রয়োজনের একটি প্রতিনিধি দল হাফিজুলের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেছে তার সমস্ত তথ্য বা নাম ও পরিচয় নিজেরদের হেফাজতে নিয়েছে হাফিজুলের বন্ধু শফিকুল জানাচ্ছেন কেনই বা বারবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাচ্ছে। সেটা আমরা বুঝতে পারছি না জন মাথাটা একটু খারাপ হয়েছে। এত নিরাপত্তা সত্ত্বেও কেনই বা বারবার ঢুকতে চাইছে সাধারণ মানুষ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বোঝাতে চাইছে। আসলে রহস্য কি এখনো তাহলে লুকিয়ে রয়েছে? সেটাই সময় যেতে যাবে এই রহস্য ঘনীভূত হবে।