মুর্শিদাবাদ – ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন ২০২৫-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আঁচে ফের অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ। বুধবার সকালে ধুলিয়ান পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডে উপ-পৌরপ্রধান সুমিত সাহার দাদা প্রবীর সাহার কসমেটিক্সের দোকানে দুষ্কৃতীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে দোকানের সমস্ত মালপত্র ছাই হয়ে যায়।ঘটনাস্থল থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে সুমিতের বাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশের কড়া টহলের মধ্যেও এই ঘটনা নিরাপত্তার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। গত কয়েকদিনে জঙ্গিপুর, সামশেরগঞ্জ ও সুতিতে হিংসায় তিনজনের মৃত্যু এবং ২০০-এর বেশি গ্রেপ্তারের ঘটনা পরিস্থিতির গুরুত্ব বাড়িয়েছে।
এদিকে, ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আজ ৭৩টি মামলার শুনানি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে এই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে তীব্র বিতর্ক প্রত্যাশিত। একই দিনে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, ইমাম ও মোয়াজ্জেমদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন। মমতা ঘোষণা করেছেন, “এই আইন বাংলায় কার্যকর হবে না।” তবে, মুসলিম সম্প্রদায়ের ক্ষোভ ও হিংসার পুনরাবৃত্তি রোধে তাঁর বার্তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।নতুন আইনের শর্ত, যেমন অমুসলিম সদস্যের মনোনয়ন ও পাঁচ বছরের ‘প্র্যাকটিসিং মুসলিম’ সার্টিফিকেশন, বিতর্কের কেন্দ্রে। বিশ্লেষকদের মতে, এই হিংসা কেবল আইনের প্রতি ক্ষোভ নয়, স্থানীয় রাজনৈতিক উত্তেজনারও প্রতিফলন।
