মুর্শিদাবাদে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড: স্ত্রী ও সন্তানের গলা কেটে খুন, আত্মঘাতী স্বামী

মুর্শিদাবাদে মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড: স্ত্রী ও সন্তানের গলা কেটে খুন, আত্মঘাতী স্বামী

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram


মুর্শিদাবাদ – মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা থানার আণ্ডিরন হালদার পাড়ায় মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটে গিয়েছে এক ভয়ঙ্কর মর্মান্তিক ঘটনা। অভিযোগ, স্ত্রী ও সাত বছরের সন্তানকে গলা কেটে খুন করে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। মৃতদের নাম সঞ্জিত হালদার (৪০), মৌসুমী হালদার (২৮) এবং রায়হান হালদার (৭)।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পারিবারিক অশান্তি থেকেই এই নৃশংস ঘটনার সূত্রপাত। ধারণা করা হচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে সঞ্জিত প্রথমে স্ত্রী ও ছেলেকে করাত দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন, তারপর নিজে ফ্যানের সঙ্গে দড়ি বেঁধে আত্মহত্যা করেন।

বুধবার সকালে সঞ্জিতের মা বাথরুমে যাওয়ার সময় জানালা দিয়ে দেখেন, তাঁর ছেলে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে ঘরের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করেন। দেখা যায়, ঘরের মেঝেতে নিথর অবস্থায় পড়ে রয়েছে মৌসুমী ও ছোট্ট রায়হানের রক্তাক্ত দেহ। খবর দেওয়া হয় বেলডাঙা থানায়।

পুলিশ এসে তিনটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বেলডাঙা থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটির পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অসহায় মা কেঁদে ভেসে বলেছেন, “আমার বউমা ভাল ছিল না। তার জন্যই এমন হয়েছে। একবার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল, পরে আবার ফিরে আসে।” অপরদিকে, সঞ্জিতের দিদি শিবাণী মণ্ডল জানিয়েছেন, “আমার ভাই বউকে খুব ভালবাসত। বলত, বউকে কেউ কিছু বলবি না।”

প্রতিবেশী মঙ্গল হালদার বলেন, “স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মাঝেমধ্যেই অশান্তি হত। তবে কেন হত, তা আমরা জানতাম না। পুজোর সময়ও ওরা একসঙ্গে জামাকাপড় কিনতে গিয়েছিল।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জিত রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন, পাশাপাশি অন্য ছোটখাটো কাজও করতেন। তবে কোনও নেশা করতেন না বলেই জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। হঠাৎ কী এমন ঘটল যে, এক সুখী পরিবার মুহূর্তে ভেঙে গেল— সেই প্রশ্নই এখন তাড়া করছে গোটা পাড়াকে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top