ভয়াবহ হচ্ছে কেরলের বন্যা পরিস্থিতি, মৃতের সংখ্যা ২৬। আবহাওয়া দপ্তর রবিবার আরও বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে। বৃষ্টির পর, মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্যের কলেজগুলি পুনরায় চালু করার দিন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেলেন। কলেজগুলি এর আগে ১৮ অক্টোবর খোলার কথা ছিল। ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত শবরীমালা যাত্রাও বন্ধ থাকবে। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কেরল। বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্য়া। নাকাল মানুষ। এখনও পর্যন্ত ২৬ জন মারা গিয়েছেন বলে খবর। সেইসঙ্গে বহু মানুষের খোঁজ মিলছে না।
ইডুক্কির থোডুপুজা এবং কোক্কায়ার এবং কোট্টায়াম জেলার কোট্টিক্কাল থেকে মৃত্যুর খবর মিলেছে। কোট্টায়াম, ইডুক্কি এবং পথনামথিট্টার মতো পাহাড়ি এলাকায় বন্যার পাশাপাশি চিন্তা বাড়িয়েছে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়া। সরকারি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, মীনাচল এবং মণিমালা নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুরোধে, সেনাবাহিনী এবং বায়ুসেনা কাজ শুরু করেছে।
বায়ুসেনার হেলিকপ্টারগুলি তৈরী রাখা হয়েছে এবং দক্ষিণ এয়ার কমান্ডের অধীনে সমস্ত ঘাঁটিগুলি হাই অ্যালার্টে রয়েছে। সেনাবাহিনী বন্যা কবলিত এলাকায় তাদের কর্মী মোতায়েন করেছে। প্রায় ৩০ জন সদস্যের একটি সেনা দল প্যাঙ্গোড মিলিটারি স্টেশন থেকে কাঞ্জিরাপল্লিন কোট্টায়াম জেলায় পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকাজের জন্য NDRF-এর ১১টি টিম কেরালায় মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পথনমোত্থিতা, কোট্টায়াম, এর্নাকুলাম, ইডুক্কি, ত্রিচুর এবং পালাক্কাড জেলাগুলিতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। রাজ্যের ছয়টি জেলায় – তিরুবনন্তপুরম , কোল্লাম, আলাপুঝা, মালাপ্পুরাম, কোঝিকোড এবং ওয়েনাড আবহাওয়া অফিস “কমলা সতর্কতা” জারি করেছে, যা “ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টি” বোঝায়। দুটি জেলায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় একটি সতর্কতামূলক নোট পাঠিয়েছে, যাতে জনগণকে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এবং পাহাড়ে বা নদীর কাছাকাছি ভ্রমণের জন্য বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আর ও পড়ুন শেষবার সিদ্ধার্থ-শেহনাজ অনস্ক্রিন জুটিতে
কেরালা উপকূলে দক্ষিণ -পূর্ব আরব সাগরের উপর নিম্নচাপের প্রভাবে, রাজ্যে ১৭ অক্টোবর (রবিবার) সকাল পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৮ এবং ১৯ তারিখ সকাল থেকে বৃষ্টিপাত হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। মুখ্যমন্ত্রী আগামী ২৪ ঘণ্টায় মানুষকে সতর্ক থাকার আবেদন করেছেন। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন।
জানিয়েছেন, কেরলের দক্ষিণ এবং মধ্যের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হয়েছে। পরে তা উত্তরেও হতে পারে। বেশ কিছু নদীর জলস্তর আরও বেড়ে যেতে পারে। কিছু বাঁধ থেকে জল ছাড়া হতে পারে। তিনি আর্জি জানিয়েছেন, বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা যেন প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলেন।