কর্ণাটক -পাতে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছিল মাছ-ভাত। তৃপ্তি করে মধ্যাহ্নভোজ সারছিলেন কর্ণাটকের প্রাক্তন ডিজিপি ওমপ্রকাশ। আচমকা তাঁর চোখে-মুখে ছুড়ে দেওয়া হয় লঙ্কার গুঁড়ো। তারপরই ছুরি দিয়ে হামলা। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। ওমপ্রকাশ খুনের ঘটনায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল কর্ণাটকের সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ।রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানান, এই ঘটনায় প্রাক্তন ডিজিপির স্ত্রী পল্লবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, জেরায় তিনি দোষ স্বীকার করেছেন। জানিয়েছেন, গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সেই কারণেই খুন। গত রবিবার বাড়ি থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ১৯৮১ ব্যাচের আইপিএস অফিসার ওমপ্রকাশের মৃতদেহ। পুলিস জানিয়েছে, সেদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ খেতে বসেছিলেন তিনি। দু’টি ফিশফ্রাই অর্ডারও করেছিলেন। সঙ্গে ছিল মাছ ও ভাত। একটি ফিশফ্রাই শেষ করার পরই স্ত্রীর সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। বিতণ্ডা তীব্র মাত্রায় গেলে স্বামীর চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন পল্লবী। ছটফট করতে থাকেন ওমপ্রকাশ। তখনই একাধিকবার ছুরির কোপ বসান স্ত্রী। ঘটনার সময় বাড়িতেই ছিলেন তাঁদের মেয়ে কৃতী। তাঁর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিস।
