মেট্রোর কাজ নিয়ে অভিযোগ তুললেন ফিরহাদ হাকিম ।মেট্রোর কাজে বাইপাসের ধরে বেশ কয়েকটি খালের মুখে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে জল বলে ছবি দেখিয়ে আগেই অভিযোগ তুলেছেন কলকাতা পৌর সংস্থার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরে তার এই অভিযোগ খারিজ করে দেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
নির্মাণকারী সংস্থা RVNL এর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় যে কোনো জায়গায় খালের মুখ বন্ধ করে মেট্রোর নির্মাণ কাজ চলছে না বলে তারা জানান। কিন্তু এবার kmrcl সেই রিপোর্ট কে খারিজ করল কলকাতা পৌর সংস্থা । এদিন মেয়র পরিষদ নিকাশি বিভাগ তারক সিংহ পাল্টা অভিযোগ যে মেট্রো নির্মাণের কাজের ফলে একাধিক জায়গা খালের মুখ ছোট করে দিয়ে কাজ করছে বলে পাল্টা অভিযোগ তার।
মেয়র পরিষদ নিকাশি তারক সিংহ অভিযোগ করেছেন যে গত একবছর ধরে তাদের বলেও কোনো লাভ হয়নি। তাহলে তারা যে দাবি করছেন যে 15 দিনের মধ্যে মেট্রো কাজ সেই সব জায়গায় সম্পূর্ণ করে দেবেন। সেটা কি করে সম্ভব বলে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন তিনি। এই মর্মে কলকাতা পৌর সংস্থার পক্ষে থেকে পৌর কমিশনার বিনোদ কুমার RVNL এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আজকে আবার চিঠি দিয়েছেন বলে জানান তিনি। চিঠি পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে যে মেট্রো কাজের জন্য ইন্টারসেপটিং খাল, টি পি খাল এবং এস ডাবলু এফ চ্যানেলের মুখ বন্ধ হাওয় বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে খালের জল বেরোনোর প্রক্রিয়ায়।
আরও পড়ুন – করোনা পরিস্থিতিতে কি ভাবে হবে পুরীর রথযাত্রা?
কলকাতা পৌর সংস্থার কমিশনার বিনোদ কুমার এর পক্ষ থেকে RVNL এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কে দেওয়া চিঠিতে অবিলম্বে এই সমস্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে খালগুলো কে বাধাপ্রাপ্ত মুক্ত করা হয় বলে দাবি করা হয়েছে। যাতে বর্ষাকালে বিনা কোনো বাধাপ্রাপ্ত খাল থেকে নিকাশি জল বের করা সম্ভব হয়। কলকাতা পৌর সংস্থা এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ পর প্রশ্ন উঠছে। যে তাহলে কি এই তরজা পর এবার ও বর্ষা মৌসুমে কলকাতার সাধারণ মানুষ জলমগ্ন অবস্থায় থাকতে হবে।
আবার কি কলকাতার মত জায়গায় রাস্তায় নৌকা চলতে দেখা যাবে। অথচ কলকাতা পৌর সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে এবার কিছু টা হলেও জল জমার হাত থেকে রেহাই পেতে পারে কলকাতা বাসীরা। কিন্তু কলকাতা পৌর সংস্থা এবং kmrcl এর মধ্যে টানাপোড়ন বলেই দিচ্ছে যে এবারও জল জমার পরিস্তিতি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে কি না সেটা নিয়ে সাধারণ শহর বাসীদের মনে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।