গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হয়ে গেলো

গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হয়ে গেলো

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
মেলা

গঙ্গাসাগর মেলা শুরু হয়ে গেলো । করোনা বিধি মেনে শুরু হল গঙ্গা সাগর মেলা। সোমবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুন্দরবনে সাগর ব্লকের গঙ্গাসাগর মেলা ২০২২ সূচনা করেন জেলা শাসক পি. উলগানাথান।এদিনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সুন্দরবন বিষয়ক মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা, সুন্দরবন বকখালি উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সীমন্ত মালী,জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসক শ্রী সিয়াত এন ,ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড কমান্ডার অভিজিত দাসগুপ্ত সহ একাধিক মেলার সঙ্গে যুক্ত থাকা আধিকারিক।

 

প্রথমে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে গঙ্গাসাগর মেলার শুভ সূচনা করা হয়।মেলা চলবে ১০ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।এদিকে গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে ইতিমধ্যে গঙ্গাসাগরের ভিড় জমিয়েছে কয়েক হাজার পুণ্যার্থী।ফলে গঙ্গাসাগর মেলায় যে সকল পুণ্যার্থীরা আসছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সে সকল পুণ্যার্থীদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে।গঙ্গাসাগরে তৈরি করা হয়েছে সেভ হোম।এদিকে গঙ্গাসাগর মেলায় ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মুরে ফেলা হয়েছে।বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় লাগানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।গঙ্গাসাগরে খোলা হয়েছে মেগা কন্ট্রোল রুম।

 

এ বিষয়ে জেলা শাসক পি. উলগানথান বলেন, এবছর গঙ্গাসাগর মেলা তে বিশেষ চমক রয়েছে পুণ্যার্থীদের জন্য,”সাগর আরতি, মহাস্থান,ধ্যান কেন্দ্র “করা হয়েছে। বহু বাধা-বিপত্তির পর মাননীয় কলকাতা হাইকোর্ট মেলা করার জন্য অনুমতি দিয়েছে।গঙ্গাসাগর মেলা কোন দিন বন্ধ হবে না।করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

 

আর ওপড়ুন      স্ত্রী সুজাতার সঙ্গে এবার পাকাপাকি সম্পর্কে ইতি টানতে চলেছেন সৌমিত্র খাঁ

 

গঙ্গাসাগর মেলি কে ইতিমধ্যেই ডিজিটাল-মেলা ঘোষণা করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন পুণ্যার্থীদের যাতে কোন রকম সমস্যা না হয় সে বিষয়ে সজাগ নজর রাখা হয়েছে।এমনকি গঙ্গাসাগর মেলা কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।ডিজিটালের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছি।এমনকি গঙ্গাসাগরের তৈরি করা হয়েছে একটি মিউজিয়াম।

 

এই মিউজিয়ামে পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগর মেলার সময় এসে গঙ্গাসাগর সম্পর্কে সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় জানতে পারবে।কোভিডের কারণে এই বছর একটি অভিনব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ,গঙ্গাসাগরের পুণ্য জল “পুণ্য তরী”মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় জেলায় পৌঁছে যাবে, যে সকল পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে আসতে পারছেন না সেই সকল পুণ্যার্থীরা জেলার বিভিন্ন মন্দির থেকে এই পূণ্য জল সংগ্রহ করতে পারবে।

 

এই বছর “ই-স্নান”এখনো পর্যন্ত ৬০ হাজারেরও বেশি বুকিং হয়েছে। মেলা চলাকালীন মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ এবং স্বাস্থ্যবিধির নিয়ম কানুন মেনেই যেকোনো জায়গায় একসঙ্গে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ জমায়েত করতে পারবে না।সকল পুণ্যার্থীদের মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধি।পাশাপাশি খোলা হয়েছে কোভিড কন্ট্রোল রুম।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top