বিধায়কের উদ্যোগে সঙ্গীত মেলার আয়োজন বর্ধমানে. প্রথমবারের জন্য বর্ধমানে আয়োজিত হতে চলেছে সংগীত মেলার। আগে বর্ধমানবাসি বিভিন্ন মেলার স্বাদ উপভোগ করেছেন। ফুল মেলা থেকে শুরু করে হস্তশিল্প মেলা কখনো আবার মাটি উৎসব তো কখনো বই মেলা, এছাড়াও অনেক সাধারন মেলার আয়োজন হয়ে থাকে সারা বছর।
কিন্তু এই প্রথম বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের উদ্যোগে বর্ধমান শহরে আয়োজিত হতে চলেছে সঙ্গীত মেলা। বিধায়ক সহায়তা কেন্দ্র থেকে মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক বৈঠক এর মাধ্যমে সঙ্গীত মেলার কথা ঘোষণা করেন বিধায়ক খোকন দাস। তিনি জানান, আগামী ২৪ শে জুন থেকে ২৮ শে জুন পর্যন্ত পাঁচ দিন ব্যাপী চলবে এই মেলা। বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে বসবে এই সঙ্গীত মেলার আসর।
আরও পড়ুন – তিস্তা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় জারি লাল সংকেত
যেখানে বহু শিল্পী অংশগ্রহণ করবেন। কোন শহর দাদা বর্ধমান জেলা থেকে শুরু করে সমগ্র রাজ্য থেকে শিল্পীরা এসে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এই মেলায়। বিধায়ক বলেন সংগীতের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে দিতে, বাংলা সংগীতের চর্চা আরও বাড়িয়ে তুলতে, সুপ্ত সঙ্গীত প্রতিভা গুলিকে সকলের সামনে আনতে সর্বোপরি সংগীতজগতের হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্রদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২৪ শে জুন প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য থেকে এই মেলার সূচনা করবেন রাজ্যে তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, ঐদিন উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ শ্রীকান্ত মাহাতো, বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
২৪ শে জুন মুখোপাধ্যায় হেমন্ত মুখোপাধ্যায় মান্না দের গান দিয়ে উদ্বোধন হবে এই সঙ্গীত মেলার। ২৫ শেষ জুন মহম্মদ রফি কন্ঠী গায়করা মঞ্চ মাতাবে। ২৬ শে জুন সঙ্গীত মেলার মঞ্চে হবে লতা মঙ্গেশকরের স্মৃতিচারণ, ২৭ শে জুন কিশোর কন্ঠি শিল্পীরা গান গাইবে এবং ২৮ শে জুন বাপ্পি লাহিড়ী ও সদ্য প্রয়াত গায়ক কেকের স্মৃতিচারণ এর মধ্য দিয়ে সঙ্গীত মেলার সমাপ্ত হবে। বর্তমানে প্রথমবার সংকেত মেলার আয়োজন হওয়ায় স্বভাবতই খুশি বর্ধমানের বাসিন্দারা। মেলার আয়োজন