মেয়াদ শেষে দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক হলেন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়. দুর্গাপুর নগর নিগমের বর্তমান বোর্ডের মেয়াদ শেষ হল ৫ই সেপ্টেম্বর সোমবার। মেয়াদ শেষে নিয়োগ করা হল বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। প্রাক্তন মহানাগরিক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়কে মাথায় রেখে ৫ জনের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। নয়া বোর্ডের চেয়ারপার্সন(প্রশাসক) হলেন প্রাক্তন মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। ভাইস চেয়ারপার্সন হলেন অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই, প্রশাসক হিসেবে অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম চূড়ান্ত হয়। প্রশাসনিকস্তরে এদিন ঘোষণা করা হয় বোর্ডের বাকি সদস্যদের নাম।
৫জন সদস্য নিয়ে প্রশাসক মণ্ডলী তৈরি করা হয়। বোর্ডে রয়েছেন ডেপুটি মেয়র অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়, রয়েছেন, রয়েছেন আরও তিন মেয়র পারিষদ ধর্মেন্দ্র যাদব, রাখি তিওয়ারি ও দীপঙ্কর লাহা। ৬ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এই প্রশাসক বোর্ড দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন দুর্গাপুর নগর নিগমের। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলগুলি। প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় জানান, ‘পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলারদের নিয়েই নগর নিগমের কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে। দুর্গাপুরের জনগণের যাতে পৌর পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধে না হয়, সে দিকেই কাজ করবে প্রশাসক মণ্ডলী।
তিনি তাঁর বক্তব্যে আরও সংযোজন করেন, বাঙ্গালির শ্রেষ্ঠ উৎসব ‘দুর্গাপুজা’ আসন্ন এবং তারপরই ‘শ্যামা’ পুজো, ‘ছট’ পুজো রয়েছে। তিনি বলেন, ডিসেম্বর বা আগামি বছরের জানুয়ারি মাসে দুর্গাপুর নগর নিগমের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তাঁর আগে প্রশাসক মণ্ডলী দ্বারা মানুষকে পৌর পরিষেবা দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে’। বিরোধী বিজেপি দলের কাউন্সিলর চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শাসকদল তৃনমূল অনায়াসে সময় থাকতে নির্বাচন করতে পারত। কিন্তু, বর্তমান সময়ে শাসকদলের নির্বাচনে যাওয়ার সত সাহস নেই। তাই, ঘুরপথে নগর নিগমের ক্ষমতা ধরে রাখার প্রয়াস।
স্বচ্ছ ও সুস্থ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তৃনমূল দলের সাহস নেই। ভোট লুট করা ছাড়া এদের উপায় নেই’। বামনেতা পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ‘দুর্গাপুরের মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার হরন করছে এই তৃনমুল কংগ্রেস সরকার। এই অগনতান্ত্রিক প্রবণতার বিরুদ্ধে দুর্গাপুরের মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক জবাব দেবেন। তিনি বলেন, আসলে তৃনমুল কংগ্রেস নেতৃত্ব দুর্গাপুরবাসীকে ভয় পাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে পথে রয়েছে বামফ্রন্ট এবং আবারও পথে নেমে এই সিধান্তের বিরোধিতা করবে বামেরা’।