“মোহের মতো আচ্ছন্ন হয়েছিলাম…” — শ্যুটিং ফ্লোরেই অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে জিতু কমল, বিছানায় শারেরি জানালেন; শ্রাবন্তী সঙ্গে দেখা করলেন

“মোহের মতো আচ্ছন্ন হয়েছিলাম…” — শ্যুটিং ফ্লোরেই অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে জিতু কমল, বিছানায় শারেরি জানালেন; শ্রাবন্তী সঙ্গে দেখা করলেন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram


বিনোদন – সোমবার নয়, বুধবার শ্যুটিং ফ্লোরেই হঠাৎ করে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা জিতু কমল। ধান্যকুড়িয়ায় চলছিল তাঁর নতুন ছবির — ‘এরাও মানুষ’—এর আউটডোর শুট। হঠাৎ বুকে চাপ, কাঁপুনি ও জ্বর অনুভব করলে সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। হাসাপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে; চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে তিনি।

আজ সকালে হাসপাতালের বিছানায় বসে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শরীর এবং মনের অবস্থা নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন জিতু। সেখানে তিনি লিখেছেন, তিনি কোনোদিন নূহতিহাসিক বা সহানুভূতিশীল ক্যাপশনের ভুগ্য নন — “হসপিটালের বেডে শুয়ে ‘I will come back soon’—ধরনে ক্যাপশন দেওয়া বা ছবি তোলার পক্ষপাতী নই। মানুষও একটি যন্ত্র; যন্ত্র সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে যেতে হয়।” তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, কাজের মোহে নিজেদের উপযুক্ত যত্ন না নেওয়াই এই ঘটনার পেছনের মূল কারণ। পাশাপাশি প্রযোজনা সংস্থার কাছে বিলম্ব বা অসুবিধার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।

চিকিৎসা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালে এসেও জিতুর ইসিজি রিপোর্ট ভাল এসেছে। বৃহস্পতিবার সকালেই ইকোকার্ডিওগ্রাম, ইউএসজি ও রক্ত পরীক্ষার মতো আরও কয়েকটি নিরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার স্পেশালিস্ট ডা. সৌরেন পাঁজা তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে; শারীরিকভাবে আপাতত স্থিতিশীল আছেন জিতু। কাঁপুনি ও জ্বর থাকলেও বুকে তীব্র ব্যথা নেই—তবে প্রয়োজনীয় সমস্ত রিপোর্ট আসা পর্যন্ত চিকিৎসকরা চূড়ান্ত কারণ বলতে সঙ্কোচ করছেন।

হাসপাতালে অভিনেতাকে দেখতে গেছেন শুভাকাঙ্খী সহ টলিউডের কয়েকজন সহকর্মী; বিশেষ করে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও হাসপাতালে এসে সাক্ষাৎ করেছেন। পরিবার-প্রতিনিধি এবং চিকিৎসকরা জানান, শিগগিরই তিনি সুস্থ হয়ে শুটিংয়ে ফিরবেন — তবে অফিস-প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে চিকিৎসকরা ছুটি বা পুনরায় শুটিং শুরু করার সিদ্ধান্ত দেবেন।

অনুরাগী ও সহকর্মীদের পক্ষ থেকে জিতুর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুভেচ্ছা বন্যা বইছে। জিতুর নিজের আবেদনও ছিল—সবাই দয়া করে অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগ না ছড়ান এবং তাদের সময় দিন যারা সমাজের জন্য দায়বদ্ধ কাজ করছেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top