নাম বদল, এবার থেকে ‘ফেসবুক’ হয়ে যাচ্ছে ‘মেটা’। নতুন নাম ঘোষণা করলেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ। গত কয়েকদিন ধরেই ফেসবুকের নাম পরিবর্তন নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে তাই সত্যি হল। অবশেষে বৃহস্পতিবার ফেসবুকের বার্ষিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করলেন জুকারবার্গ। একইসঙ্গে মেটাভার্স সংযুক্ত করার বিস্তারিত পরিকল্পনা পেশ করেন তিনি।
তবে বদল হয়েছে শুধু ‘ফেসবুক’ কোম্পানির নাম। ফেসবুক অ্যাপ আগের মতোই চলবে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ওকুলাসের কোম্পানির নাম ছিল ফেসবুক। সেটিই এখন বদলে হচ্ছে ‘মেটা’। দীর্ঘ ১৭ বছর পর নতুন নাম হল। মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছেন, ‘আমাদের মিশন একই থাকছে। ব্র্যান্ডের অ্যাপের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। কেবল কোম্পানির নাম পরিবর্তিত হল। আমরা বিশ্বাস করি মেটাভার্সের হাত ধরে ভবিষ্যৎ বদলে যাবে ইন্টারনেটের।’ নিজেদের সোশ্যাল সাইটের সীমানায় না রেখে এবার মহাবিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যেই রিব্র্যান্ডিং করল এই সংস্থা।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং কিছুটা এগিয়ে অগমেন্টেড রিয়েলিটি এই দুইকে আঁকড়ে ধরে এগিয়ে যেতে এবং ভবিষ্যতকে নিজেদের মতো করে সাজাতে নাম বদলে ফেলল মার্ক জুকারবার্গের সংস্থা ফেসবুক। এবার থেকে তার নাম হবে মেটা। আর এই কাজটি করা হচ্ছে কারণ রিয়েল এবং ভার্চুয়াল জগতকে আগামিদিনে মিলিয়ে-মিশিয়ে একাকার করে দিতে চলেছেন জুকারবার্গ এবং তাঁরই মতো মেটাভার্সের স্বপ্নকে বুকে আঁকড়ে এগিয়ে চলা বেশ কিছু সংস্থা।
আর ও পড়ুন বন্ধ বাস পরিষেবা, সমস্যায় যাত্রীরা
ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্মকে ঘিরে সাম্প্রতিক অতীতে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। ফেসবুকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি উঠেছে। ফেসবুকের নানা প্ল্যাটফর্মে হিংসা ও নেতিবাচকতা যেভাবে ডালপালা মেলেছে তা নিঃসন্দেহে এর কৌলিন্যে বারবার আঘাত করেছে। সম্প্রতি ফেসবুকের প্রাক্তন কর্মী ফ্রান্সেস হগেন কিছু নথি ফাঁস করেন এবং অভিযোগ করেন যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার চেয়েও মুনাফাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
যদিও ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ বলেছেন যে মিথ্যাচার করতেই এই তথ্য সামনে আনা হয়েছে। যদিও মাসিক ২৯০ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর কাছে এই বিষয়টি যে সাড়া ফেলে দিয়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়। মার্ক জুকারবার্গ বহুদিন ধরেই চেষ্টা করছেন যাতে ফেসবুকের মতো সংস্থাকে শুধু সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা হিসাবে না রেখে একটি মেটাভার্স সংস্থায় বদলে ফেলা যায়। আর সেকারণেই জুকারবার্গ এবং অন্যান্যরা অগমেন্টেড ও ভার্চুয়াল রিয়েলিটি দুটিতেই বিনিয়োগ করেছেন সাম্প্রতিক অতীতে। এবং ভবিষ্যতে সেই বিনিয়োগ আরও বাড়াবেন সন্দেহ নেই।
মেটাভার্স হল ইন্টারনেটের আধুনিক সংষ্করণ। সেখানে ভার্চুয়াল স্পেসেই মানুষ সারা বিশ্বকে বা অন্য অনেকের সঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন সেই নির্দিষ্ট স্থান বা মুহূর্তে উপস্থিত না থেকেও। গতি নিয়ন্ত্রণকারী সেন্সরের মাধ্যমে স্ক্রিনে দেখানো ছবির গতিকে আপনার ভার্চুয়াল রিয়েলিটির গতির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হবে। আপনার গতি আর স্ক্রিনের গতি তখন মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। ফলে আপনি ভার্চুয়াল স্পেসে তখন হারিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, নাম বদল। এবার থেকে ‘ফেসবুক’ হয়ে যাচ্ছে ‘মেটা’। নতুন নাম ঘোষণা করলেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জুকারবার্গ। গত কয়েকদিন ধরেই ফেসবুকের নাম পরিবর্তন নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে তাই সত্যি হল। অবশেষে বৃহস্পতিবার ফেসবুকের বার্ষিক সম্মেলনে এই ঘোষণা করলেন জুকারবার্গ। একইসঙ্গে মেটাভার্স সংযুক্ত করার বিস্তারিত পরিকল্পনা পেশ করেন তিনি। তবে বদল হয়েছে শুধু ‘ফেসবুক’ কোম্পানির নাম। ফেসবুক অ্যাপ আগের মতোই চলবে।
ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ওকুলাসের কোম্পানির নাম ছিল ফেসবুক। সেটিই এখন বদলে হচ্ছে ‘মেটা’। দীর্ঘ ১৭ বছর পর নতুন নাম হল। মার্ক জুকারবার্গ জানিয়েছেন, ‘আমাদের মিশন একই থাকছে। ব্র্যান্ডের অ্যাপের কোনও পরিবর্তন হচ্ছে না। কেবল কোম্পানির নাম পরিবর্তিত হল। আমরা বিশ্বাস করি মেটাভার্সের হাত ধরে ভবিষ্যৎ বদলে যাবে ইন্টারনেটের।’ নিজেদের সোশ্যাল সাইটের সীমানায় না রেখে এবার মহাবিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যেই রিব্র্যান্ডিং করল এই সংস্থা।