যাত্রীদের মারধরের অভিযোগ উঠল বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার সুভাষগ্রাম ও সোনারপুর স্টেশনের মধ্যে সোমবার ট্রেনে উঠে টাকা চাওয়ার পর,চাহিদা মত টাকা দিতে না পারায় যাত্রীদের সঙ্গে অশালীন ব্যবহারের অভিযোগ উঠল বৃহন্নলাদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় সোনারপুর GRP-তে অভিযোগও দায়ের করেছেন প্রহৃত যাত্রীরা।
এদিকে,রেল পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী,প্রহৃত দুই ট্রেন যাত্রীর নাম সুজন হালদার ও স্নেহলতা হালদার।তারা, কলকাতার বালিগঞ্জের কসবা এলাকায় বাস করেন।জানা গেছে তারা সম্পর্কে ভাই-বোন হন।তারা সোমবার বিকালে আপ শিয়ালদহ লোকালে উঠেছিলেন।আর এখানেই বৃহন্নলাদের দাবি মতো টাকা না দিতে পারায় এঁদের মারধর করে দুই বৃহন্নলা বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।ঘটনায় দুজনেই গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিয়ে, স্নেহলতা হালদার জানান, “মা, মামি ও ভাই সুজনের সঙ্গে আমি লক্ষ্মীকান্তপুর থেকে সোমবার বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের আপ শিয়ালদহ লোকাল ধরি বাড়ি ফেরার জন্য। সুভাষগ্রাম ও সোনারপুর স্টেশনের মাঝে দুই বৃহন্নলা ট্রেনে ওঠে। তাঁরা অন্য যাত্রীদের মত আমাদের কাছেও টাকা চায়।”এরপর স্নেহলতার মা তাদের ১০ টাকা দিতে যান।কিন্তু,তাঁরা তা নিতে অস্বীকার করে এবং আরও বেশী টাকা দেওয়ার দাবী জানায়।কিন্তু তাদের দাবি মতো টাকা দিতে চান না স্নেহলতার পরিবার।আরঠিক তখনই ওই দুই বৃহন্নলা তাঁদের অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে।
আর ও পড়ুন হলদিয়ার কারখানায় আগুন
এরপর সুজন প্রতিবাদ করে কিন্তু তাঁকে বেধড়ক মারধর করে ওই দুই বৃহন্নলা। এদিকে,নিজের ভাইকে মার খেতে দেখে স্নেহলতা এগিয়ে এলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। স্নেহলতার কথায়, “আমরা চারজনে একসঙ্গে থাকায় ৫০ টাকা চেয়েছিল। মা ১০ টাকা দিলে ওঁদের পছন্দ হয়নি। ওঁরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জানলার ধারে বসে থাকা আমার ভাইয়ের মাথা ঠুকে দেয়। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকেও গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
সোনারপুরে এলে পুঁতে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়। এরপর সোনারপুর স্টেশনে ট্রেনটা ঢুকতে শুরু করলে একজন মাসির হাতে থাকা কয়েন আমাকে ছুড়ে মারে। আমার কপাল কেটে গিয়ে রক্ত বেরোয়। এরপর ওঁরা সোনারপুরে নেমে যায়।” এছাড়াও, জানা গেছে বৃহন্নলার ছোড়া কয়েনের আঘাতে ট্রেনের আরও কয়েকজন যাত্রী কম-বেশি আহত হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।সূত্রের শেষ খবর অনুযায়ী,সুভাষগ্রাম ও সোনারপুর স্টেশনের মাঝে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাটির দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।