যুথিকা রায়ের অধরা স্বপ্ন এখন এক চিলতে ভাঙা ঘরে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের সঙ্গে। স্বপ্ন ছিল বড় অ্যাথলিট হবার। স্বপ্ন ছিল দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে, গলায় সোনার মেডেল ঝুলিয়ে সোনার মেয়ে হবে। নিউব্যারাকপুরের পশ্চিম কোদালিয়ার যুথিকা রায়ের অধরা স্বপ্ন এখন এক চিলতে ভাঙা ঘরে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের সঙ্গে। ছোট্ট বেলায় বাবার হাত ধরে পাড়ায় বা আশেপাশের সমস্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার জিতে বিজয়ীনি হয়ে ফিরত। এভাবেই বেড়ে ওঠা স্বপ্ন গুলো যখন একটু একটু করে ডানা মেলছে ঠিক তখনই ছন্দপতন।
আচমকা বাবার মৃত্যু যুথিকার জীবন বদলে দেয়। গরীব ঘরে যেখানে দু-মুটো খাবারের লড়াই সেখানে বড় অ্যাথলিট হওয়া বিলাসিতা মাত্র। বিয়ে হয়ে যায় যুথিকার, বিয়ের আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে উৎসাহ দেবার আশ্বাস দিলেও বিয়ের পরে রাতারাতি সব বদলে যায়। বহু বাধা কাটিয়ে ২০১২ সালে স্বামী অনুপ্রেরণায় ফের মাঠে প্রত্যাবর্তন হলেও বয়স তার ক্ষিপ্রতা কেড়ে নিয়েছে। প্রাক্তনীদের তালিকায় নাম লিখিয়ে মনের অদম্য ইচ্ছা আর সবুজ মাঠের টানে ফের বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা শুরু হলো।
জেলা থেকে বেঙ্গল তারপর জাতীয় পর্যায়ে অংশ নেওয়া যুথিকা একের পর এক তার ইচ্ছাপূরণ করে চলেছে। পুরস্কার আর প্রশংসায় ভাসতে থাকা যুথিকার জীবনে ফের অন্ধকার ঘনিয়ে আসে ২০২০ সালে। সরস্বতী পুজোর দিন তার প্রেরণাদাতা স্বামী অনুপ রায় গত হয়, ফের ছেদ পড়ে অ্যাথলিট জীবনে। প্রাথমিক শোক কাটিয়ে ছেলের উৎসাহে শুরু হয় নতুন করে ফিরে আসা। বাড়ির সামনে এক ফালি জমিতে দিনরাত অনুশীলন করে চলেছে নিজেকে ফিট রাখতে।
আর ও পড়ুন এই পৌর নির্বাচনে সারা বাংলায় বিপুলভাবে জিতবে বিজেপি, মুকুল রায়
সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে স্থানীয় ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে প্রাকটিসে মগ্ন যুথিকা তার স্বপ্ন কে ওদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ব্যস্ত। সংসারের হাল ধরতে চা বিক্রির পাশাপাশি নতুন বছরে তামিলনাড়ু তে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান মাস্টার্স অ্যাথলেটিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে কঠোর অনুশীলন চালাচ্ছে। মা কে সাহায্য করতে ছেলে ঘাম ঝড়িয়ে চলেছে কর্মক্ষেত্রে।
নিউব্যারাকপুর পুর প্রশাসক সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন, তবু পুরসভার আইনে আটকে যুথিকার ভাঙা ঘরই আপাতত মাথা গোঁজার আশ্রয়। ভাঙাচোরা ঘরে শুয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়ে একটু স্বচ্ছলতার স্বপ্ন দেখে চলেছে। একটা পাকা বাড়ি আর ভদ্র ভবিষ্যত কাটানোর লক্ষ্যে শীতের বিকেলে ঘাম ঝড়িয়ে চলেছে। ৪৪ বছরেও হরিনের গতিতে সবাইকে হারিয়ে ছুটে চলেছে একটাই মন্ত্রে ফাইট যুথিকা… ফাইট।
উল্লেখ্য, স্বপ্ন ছিল বড় অ্যাথলিট হবার। স্বপ্ন ছিল দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে, গলায় সোনার মেডেল ঝুলিয়ে সোনার মেয়ে হবে। নিউব্যারাকপুরের পশ্চিম কোদালিয়ার যুথিকা রায়ের অধরা স্বপ্ন এখন এক চিলতে ভাঙা ঘরে বেঁচে থাকার লড়াইয়ের সঙ্গে। ছোট্ট বেলায় বাবার হাত ধরে পাড়ায় বা আশেপাশের সমস্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার জিতে বিজয়ীনি হয়ে ফিরত। এভাবেই বেড়ে ওঠা স্বপ্ন গুলো যখন একটু একটু করে ডানা মেলছে ঠিক তখনই ছন্দপতন। আচমকা বাবার মৃত্যু যুথিকার জীবন বদলে দেয়। গরীব ঘরে যেখানে দু-মুটো খাবারের লড়াই সেখানে বড় অ্যাথলিট হওয়া বিলাসিতা মাত্র।
বিয়ে হয়ে যায় যুথিকার, বিয়ের আগে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে উৎসাহ দেবার আশ্বাস দিলেও বিয়ের পরে রাতারাতি সব বদলে যায়। বহু বাধা কাটিয়ে ২০১২ সালে স্বামী অনুপ্রেরণায় ফের মাঠে প্রত্যাবর্তন হলেও বয়স তার ক্ষিপ্রতা কেড়ে নিয়েছে। প্রাক্তনীদের তালিকায় নাম লিখিয়ে মনের অদম্য ইচ্ছা আর সবুজ মাঠের টানে ফের বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা শুরু হলো।