যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরল বালির এক ডাক্তারি পড়ুয়া। উৎকন্ঠার অবসান। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরেছেন হাওড়ার বালির বাসিন্দা ডাক্তারি পড়ুয়া অন্বেষা দাস (২১)। ঘরের মেয়ে ফিরে আসায় স্বস্তির নিশ্বাস পড়েছে বেলুড়ের দাস পরিবারে। ইউক্রেন থেকে ভারত সরকারের বিমানে বাড়ি ফিরে এসেছেন বাংলার এই মেয়ে।হাওড়ার বেলুড়ের প্যায়ারী মোহন মুখার্জি রোডের বাসিন্দা অন্বেষা ইউক্রেনের টার্নপিল মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রী ছিলেন।
ভয়াবহ যুদ্ধের আতঙ্কের যেন এখনো গ্রাস করে রেখেছে তাঁকে। অবশেষে বাড়ি ফিরতে পারায় খুশি অন্বেষা। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কেমন ভয়ে ভয়ে দিন কাটতো বা অন্ধকার নামলে গোটা শহরকে কিভাবে অন্ধকার গ্রাস করতো তাই যেন এখন চোখের সামনে ভাসছে অন্বেষার। অবশেষে সেই ভয়ের পরিবেশ থেকে সে যে আবার ফিরে আসতে পেরেছে তাই এখন সবচেয়ে আনন্দের পরিবারের কাছে। উল্লেখ্য, ইউক্রেনের টার্নপিল মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়েন হাওড়ার বালির প্যায়ারী মোহন মুখার্জি রোডের বাসিন্দা অন্বেষা দাস।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত থেকে ইউক্রেনে পড়তে যান তিনি। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমন করার পরে জারি করা হয়েছে ইমার্জেন্সি। চরম উদ্বিগ্নে পড়ে যান গোটা পরিবার। বারেবারের মেয়েকে ভিডিও কল করে নিজের চোখে মেয়েকে দেখে মানসিক শান্তি পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। এলাকায় চলছিল কারফিউ। পানীয় জলের সরবারাহ বন্ধ থাকায় জল কিনে খেতে হচ্ছিল।
আর ও পড়ুন নিউটাউন হাজরা কালীবাড়ি মন্দিরে শিব পার্বতীর পুজো দিলেন দিলীপ ঘোষচাষ
পানীয় জল, খাবার বা টাকা তোলার এটিএম সর্বত্রই পড়ছিল লাইন। ইউনিভার্সিটির ইউক্রেন মেস বন্ধ করে দেওয়া হলেও চালু ছিল ইন্ডিয়ান মেস। ফলে ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রীরা খাবার মেস থেকেই পাচ্ছিলেন। সরকারের কাছে পরিবারের আবেদন ছিল ফিরিয়ে আনা হোক ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের। অবশেষে ঘরে ফিরতে পেরেছে অণ্বেষা।