যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের জেরে প্রায় ১ হাজার ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়ার পুলিশ। ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি শহরে এ বিক্ষোভ হয়েছে।রাশিয়ার ৫১টি শহরে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে ১ হাজার ৩৯১ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কেবল মস্কো থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭০০-এর বেশি মানুষকে। রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেইন্ট পিটার্সবার্গ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরও ৩৪০ জনকে।গত বুধবার ইউক্রেনে আগ্রাসনের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পরই দেশটিতে স্থল, জল ও আকাশপথে হামলা শুরু করে রাশিয়া।ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ দেশটির বিভিন্ন শহরে রুশ বোমা হামলা অব্যহত আছে। এ পর্যন্ত ইউক্রেনে ১৩৭ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে, কিয়েভের ক্ষমতাসীন সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নিতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে উক্রেনের সামরিক বাহিনীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
আর ও পড়ুন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বিমানঘাঁটির দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী
রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে পুতিন বলেন, আমি ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক সৈন্যদের প্রতি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি: নব্য-নাৎসিদের মেনে নেবেন না এবং (ইউক্রেনের উগ্র জাতীয়তাবাদীদের) আপনাদের সন্তান, স্ত্রী এবং প্রবীণদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে দেবেন না।ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ক্ষমতা আপনাদের নিজের হাতে নিয়ে নিন, আমাদের পক্ষে চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য এটি সহজ হবে।
রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনারা ‘সাহসিকতা, পেশাদারিত্ব এবং বীরত্বের সাথে’ তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তিনি বলেন, কিয়েভের ক্ষমতাসীন ‘একদল মাদকাসক্ত এবং নব্য-নাৎসির’চেয়ে সেনাবাহিনী আলোচনার ভালো অংশীদার হবে। ইউক্রেনের শাসকরা নিজেদেরকে কিয়েভে আবদ্ধ করেছে এবং জনগণকে ‘জিম্মি’ করে রেখেছে।