খেলা – যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে রবিবার সন্ধ্যায় ছিল ডুরান্ড কাপের ফাইনালের টানটান উত্তেজনা। একদিকে বাংলার দল ডায়মন্ড হারবার এফসি, অন্যদিকে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড। হাজার হাজার দর্শকের সামনে ম্যাচের শুরু থেকেই খেলার রাশ নিজেদের হাতে নেয় নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড। প্রথমার্ধেই তারা করে পরপর দুটি গোল। ম্যাচের ৩০ মিনিটে আশির আখতারের শটে এগিয়ে যায় নর্থ-ইস্ট, এরপর প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মুহূর্তে পার্থিব গোগোইয়ের শটে দ্বিতীয় গোল আসে। ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স অব্যাহত রাখে নর্থ-ইস্ট। ৫০ মিনিটে থোই সিংয়ের গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে তারা স্কোরলাইনকে ৩-০ করে তোলে। এই সময় অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, ম্যাচ কার্যত শেষ। তবে ডায়মন্ড হারবার এফসি লড়াই ছাড়তে নারাজ। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে লুকা মায়সেনের গোলে ব্যবধান কমিয়ে ৩-১ করে তারা। এরপর থেকেই ডায়মন্ড হারবারের তারকা খেলোয়াড় জবি ও মায়সেনদের নেতৃত্বে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে দল। গ্যালারিতে তখন দর্শকদের উচ্ছ্বাস চরমে পৌঁছায়।
মাঠের ভেতরের লড়াইয়ের মতো মাঠের বাইরেও ছিল উন্মাদনা। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ উপেক্ষা করে হাজার হাজার ফুটবলপ্রেমী ভিড় জমিয়েছিলেন যুবভারতীতে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান মাঠে না থাকলেও, ডায়মন্ড হারবার এফসি-কে সমর্থন জানাতে সমর্থকদের ঢল নামে। বাস, গাড়ি, টেম্পো করে এসেছিলেন অসংখ্য দর্শক। অনেক মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল সমর্থকও নিজ নিজ জার্সি পরে খেলা দেখতে হাজির হন। গ্যালারিতে ডায়মন্ড হারবার এফসির পেট্রন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও স্লোগান ওঠে।
ফাইনালের আগে সেনাবাহিনীর প্যারেড এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও বিশেষ আকর্ষণ ছিল। আবেগ, উন্মাদনা এবং লড়াই—সব মিলিয়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন রবিবার সাক্ষী থাকল এক উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালের।
