দিল্লি – রাজপথের মাঝখানে যখন ইঁটের পাঁচিল গড়ে ওঠে, তখন তা শুধু প্রতিবন্ধক নয়—তা হয়ে ওঠে দীর্ঘ দিনের ক্ষোভ, উপেক্ষা, আর অবহেলার প্রতীক। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র-পিহোয়া স্টেট হাইওয়ের মাঝখানে এমনই এক দৃশ্য দেখা গেল মঙ্গলবার। কিছু মানুষ রাস্তার ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে গড়ে তুললেন একটি ইঁটের পাঁচিল। পুলিশের বাধা, প্রশাসনের অনুরোধ—কিছুতেই তাদের মন টলল না।
এ যেন নিছক এক নির্মাণ কাজ নয়, বরং প্রতিরোধের ভাষা।
বিক্ষোভকারীদের অন্যতম প্রীতপাল সিংয়ের অভিযোগ, ২০০৬ সালে তাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল রাস্তা নির্মাণের জন্য, কিন্তু ক্ষতিপূরণের নামগন্ধ ছিল না। মামলা করেন, দীর্ঘ লড়াইয়ের শেষে ২০১৮ ও ২০২৩ সালে আদালতের রায় তাঁদের পক্ষে আসে। তবু জমির হিস্যা অধরাই থেকে যায়।
পিডব্লিউডি-র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দাবি করেছেন, ৫.৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আদালতের নির্দেশে আরও টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। ক্ষোভ-অসন্তোষ আর দীর্ঘ প্রতীক্ষার জবাবে মানুষ তখন রাজপথকেই বেছে নেয় প্রতিবাদের মঞ্চ হিসেবে।
এই ঘটনা শুধু একটি রাস্তার অচলাবস্থা নয়। এটি একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দেয়—আদালতের রায়, প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি আর নাগরিক অধিকার এই তিনটির মধ্যে সমন্বয় ঠিক কোথায়?
রাস্তা ফের খুলেছে, মানুষ ফিরে গেছে নিজের ঘরে, কিন্তু প্রশ্নটা থেকে গেছে—এভাবে আর কতদিন সমাজকে পাঁচিল গড়ে নিজের অধিকারের কথা বলতে হবে?
