আনিস হত্যার পতিবাদে বাম ছাত্র-যুব সংগঠন বিক্ষোভে রণক্ষত্র হাওড়ার পানিয়ার পুলিশ সুপারের অফিস।পূর্ব ঘোষণা মতোই শনিবার পানিয়ারাতে জেলা পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও কর্মসূচি নেয় বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কর্মসূচির পূর্বেই বিশেষ ব্যবস্থা নেই হাওড়া গ্রামীন পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য মোতায়েন রাখা হয়েছে জল কামান। পুলিশ সুপারের অফিসের মধ্যে যাতে কেউ ঢুকে না পড়তে পারে তার জন্য মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পাশাপাশি পুরো অফিসকে গার্ড-রেল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। হাওড়া গ্রামীন পুলিশের বন্দোবস্ত দেখে মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জেলা পুলিশের সুপারের অফিস।
আনিস খান হত্যার প্রতিবাদে হাওড়া গ্রামীন এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি। বিশাল পরিমাণ এ পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সাথে জলকামান। বিশাল সংখ্যায় ছাত্র-যুবরা আজকের এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশ নেয়। বামপন্থী ছাত্র-যুবদের দাবি অবিলম্বে আনিশের হত্যাকাণ্ডে যারা যুক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করতে হবে। জেলা পুলিশ সুপারের উপরেও কড়া শাস্তির দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা।
আর ও পড়ুন ইউক্রেনে বাঙ্কারে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন ভারতীয় পড়ুয়ারা, বিপাকে বসিরহাটের অর্পণ
যে সমস্ত পুলিশকর্মীরা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা। পাশাপাশি যাদের নির্দেশে ওইদিন রাতে পুলিশকর্মীরা আনিশের বাড়িতে যায় তাদের নাম সামনে আনতে হবে। তাদেরকেও গ্রেফতার করতে হবে অবিলম্বে। মিছিল পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে পৌঁছলে তাদের রাস্তা আটকায় পুলিশ। এরপরই বচসা বাঁধে ছাত্র যুব কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের।
সেই বচসা পৌঁছয় হাতাহাতিতে। উদ্ধত বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশের দাবি ছাত্র যুব বিক্ষোভের মধ্যে থেকে প্রচুর সংখ্যায় ইঁট পাথর পুলিশকে লক্ষ করে ছোঁড়া হয়
সুপারের অফিসের সামনেও প্রচুর সংখ্যায় ইঁট পাথর পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশের লাঠির আঘাতে কয়েকজন বিক্ষোভকারী আহত হয় বলে বাম সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
ঠিক একইভাবে বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরের আঘাতে আহত হন কয়েকজন পুলিশকর্মী। দুপক্ষের লড়াইতে দীর্ঘক্ষণ যানজট সৃষ্টি হয় পানিয়ারার সামনের জাতীয় সড়কে। পুলিশ সুপারের অফিস কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। এখনো ছাত্র-যুব বিক্ষোভ চলছে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে।
তাদের দাবি তারা শান্তিপূর্ণ উপায়ে মিছিল ও পথসভা করবে। পুলিশ অহেতুক তাদের কর্মীদের প্ররোচনা দিচ্ছে অশান্তি সৃষ্টির জন্য। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ নস্যাৎ করা হয়েছে। দাবি পুলিশের যথেষ্ট সংযম দেখাচ্ছে পুলিশ।