মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি হলেন রফিকুল ইসলাম

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি হলেন রফিকুল ইসলাম

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
রফিকুল

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি হলেন রফিকুল ইসলাম ওরফে (এটিএম রফিকুল)।  চাচল ২ ব্লকের অন্তর্গত মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূল দলের নির্বাচিত সদস্য রয়েছেন রফিকুল ইসলাম । তিনি সভাধিপতি হওয়ার পরই তাকে ফুলের মালা পরিয়ে এবং পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্বর্ধনা জানান রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

 

উপস্থিত ছিলেন দলের জেলার বিভিন্ন এলাকার বিধায়ক এবং জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী প্রমুখ। মালদা জেলা পরিষদের ৩০ জন নির্বাচিত সদস্যের সমর্থন নিয়ে নতুনভাবে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে মালদা জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে অতিরিক্ত জেলা শাসক তথা মালদা জেলা পরিষদের নির্বাহী আধিকারিক মৃদুল হালদার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতেই সভাধিপতি গঠন পর্বের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তৃণমূলের পক্ষে ৩০ জন সদস্য সমর্থন করেন । বিরোধী দলের কোনো সদস্য এদিন উপস্থিত হন নি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় মালদা জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল । নতুনভাবে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম।

 

উল্লেখ্য,  মালদা জেলা পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩৮। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গাজোলের একটি আসনে প্রার্থী মৃত্যুর কারণে সেই জায়গায় নির্বাচন হয় নি। ৩৬ টি আসনে নির্বাচন হয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপি থেকে তৃণমূল এবং তৃণমূল থেকে বিজেপিতে দলত্যাগের এই টানাপোড়েনের জেরে তৎকালীন জেলা পরিষদের সভাধিপতি চন্দ্র মন্ডল বিরুদ্ধে তৃণমূলের নির্বাচিত ২৪ জন সদস্য অনাস্থা আনে। পরবর্তীতে কংগ্রেস এবং বিজেপি ছেড়ে আরো কিছু সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন গৌড়চন্দ্র মন্ডল। তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। এরপর থেকেই মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদটি ফাঁকা পড়েছিল।

 

সম্প্রতি মালদায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গঠনের নির্দেশ দিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এরপরই শুরু হয় জেলা পরিষদের সভাধিপতির গঠন প্রক্রিয়ার কাজ। সেই মতেই বুধবার সভাধিপতি নির্বাচনের দিন ঠিক করা হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যদিও এদিন তৃণমূলের এই সভাধিপতির বিরোধিতায় কোনরকম বিরোধীদলের নির্বাচিত সদস্যদের দেখা যায় নি। ফলে ৩০ সদস্যদের সমর্থন নিয়েই জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল।

 

আর ও পড়ুন      ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো

 

মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি দায়িত্ব পেয়ে রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় এখনো যেসব কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে তার দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। দল যেভাবে নির্দেশ দিবে সেই ভাবেই আমি সভাধিপতির দায়িত্ব পালন করবো। এদিন ৩০ জন মালদা জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন। এবং সেই সমর্থনের নিয়ে আমি সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছি। এখন লক্ষ্য একটাই বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় অসম্পূর্ণ সমস্ত কাজ পূরণ করা।

 

জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী জানিয়েছেন , এদিন সুস্থভাবে জেলা পরিষদের সভাধিপতি গঠন হয়েছে । রাজ্য নেতৃত্বে নির্দেশে রফিকুল ইসলামকে সভাপতি করা হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতির না থাকার কারণে বাজেট পেশ এবং কিছু কাজের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এখন থেকে সেই সব উন্নয়নমূলক কাজে আর কোন সমস্যা থাকবে না। দ্রুত সেগুলি সমাধান করা হবে । তবে জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি চন্দন হালদার রয়েছেন। তিনি বর্তমানে বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল দলে বিধায়ক রয়েছেন।

 

উল্লেখ্য,   মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি হলেন রফিকুল ইসলাম ওরফে (এটিএম রফিকুল)।  চাচল ২ ব্লকের অন্তর্গত মালতিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূল দলের নির্বাচিত সদস্য রয়েছেন রফিকুল ইসলাম । তিনি সভাধিপতি হওয়ার পরই তাকে ফুলের মালা পরিয়ে এবং পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্বর্ধনা জানান রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

 

উপস্থিত ছিলেন দলের জেলার বিভিন্ন এলাকার বিধায়ক এবং জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী প্রমুখ। মালদা জেলা পরিষদের ৩০ জন নির্বাচিত সদস্যের সমর্থন নিয়ে নতুনভাবে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম। বুধবার দুপুরে মালদা জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে অতিরিক্ত জেলা শাসক তথা মালদা জেলা পরিষদের নির্বাহী আধিকারিক মৃদুল হালদার সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের উপস্থিতিতেই সভাধিপতি গঠন পর্বের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তৃণমূলের পক্ষে ৩০ জন সদস্য সমর্থন করেন । বিরোধী দলের কোনো সদস্য এদিন উপস্থিত হন নি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় মালদা জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল । নতুনভাবে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top