বিপিন রাওয়াতের দেহ নিয়ে যাওয়ার পথে ফের ঘটলো দুর্ঘটনা। শেষ যাত্রাতেও ঘটলো দুর্ঘটনা। জেনারেল বিপিন রাওয়াতের দেহ নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়লো অ্যাম্বুলেন্স। বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটন থেকে সুলুর নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অ্যাম্বুলেন্সটি। একাধিক অ্যাম্বুলেন্সে করে দেহগুলি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তার মধ্যে একটি অ্যাম্বুলেন্সের দুর্ঘটনা ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে সেটি থেকে দেহ অন্য একটি অ্যাম্বুলেন্সে সরিয়ে নেওয়া হয়।
গতকাল তামিলনাড়ুর কুন্নুরে নীলগিরিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল জেনারেল বিপিন রাওয়াতের কপ্টার। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াতও। ওয়েলিংটন ডিফেন্স কলেজে যাওয়ার পথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল তাঁদের কপ্টার। কপ্টারের ১৪ জন যাত্রীর মধ্যে ১৩ জন যাত্রীই মারা গিয়েছেন। ওয়েলিংটন হাসপাতালে মারা যান বিপিন রাওয়াত। দুপুর ১২টা নাগাদ সুলুরের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয় মৃত ১৩ জনের দেহ। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা নাগাদ সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে করে তাঁদের দেহ দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। জেনারেল বিপিন রাওয়াতের দেহ তাঁর বাসভবনে রাখা থাকবে। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার সকালে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
আর ও পড়ুন শস্য সুরক্ষার জন্য বীমার উপর একশো শতাংশ জোর দিয়েছে সরকার
হেলিকপ্টারে যে ১৪ জন যাত্রী ছিলেন, তাদের মধ্যে ১৩ জনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। মৃতদের মধ্যে সিডিএসের স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, বিপিন রাওয়াতের প্রতিরক্ষা পরামর্শদাতা ব্রিগেডিয়ার লখবিন্দর সিং লিড্ডার, স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং ও নয়জন জওয়ান, যাঁদের মধ্যে বায়ুসেনার হেলিকপ্টারের কর্মীরাও ছিলেন।
তাঁরা উইং কম্যান্ডার পৃথিবী সিং চৌহান, স্কোয়াড্রন লিডার কুলদীপ সিং, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার রাণা প্রতাপ দাস, জুনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আরাক্কাল প্রদীপ, হাবিলদার সতপাল রাই, নায়েক গুরুসেবক সিং, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার, ল্যান্স নায়েক বিবেক কুমার, ল্যান্স নায়েক বি সাই তেজা। এই দুর্ঘটনায় একমাত্র বেঁচে ফেরা গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুন সিং ওয়েলিংটনের সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে বেঙ্গালুরুর কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।