রাজনৈতিক আঙিনা পেরিয়ে ভালোবাসার বাঁধনে মহুয়া-পিনাকীর নবযাত্রা

রাজনৈতিক আঙিনা পেরিয়ে ভালোবাসার বাঁধনে মহুয়া-পিনাকীর নবযাত্রা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram



দিল্লি -এইবার রাজনীতি নয়, ব্যক্তিগত সম্পর্কের রঙে রাঙিয়ে উঠলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নয়াদিল্লির একটি অভিজাত হোটেলে সোমবার সন্ধ্যায় আয়োজিত হল মহুয়া ও প্রাক্তন বিজেডি সাংসদ পিনাকী মিশ্রের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা—যা শুধু এক সামাজিক অনুষ্ঠান নয়, রাজনৈতিক মহলেও কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

গত ৩০ মে জার্মানির একান্ত ব্যক্তিগত পরিবেশে গাঁটছড়া বাঁধেন মহুয়া ও পিনাকী। দুই মাস পর দিল্লির হোটেল ললিতে অনুষ্ঠিত হল তাঁদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা, যেখানে মিলল রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাগত নানা ধারার মানুষের উপস্থিতি। মহুয়ার রিসেপশনে দেখা গেল সোনিয়া গান্ধী, সুপ্রিয়া সুলে, সায়নী ঘোষ, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া সহ তৃণমূল ও কংগ্রেসের একাধিক মুখ। যদিও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় ব্যস্ততার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি, তবুও সন্ধ্যার আসর এক ‘রাজনৈতিক মিলনমেলা’-তেই পরিণত হয়।

সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই বিবাহোৎসবের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সমাজবাদী পার্টির নেতা বীরেন্দ্র সিং ছবি শেয়ার করে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানান। তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য সাগরিকা ঘোষ লেখেন, “সুন্দরী কনে মহুয়া ও পিনাকীর এই বিশেষ দিনে অনেক শুভেচ্ছা।”

এই বিয়ে শুধুমাত্র একটি সামাজিক বন্ধনের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি এক অভিজ্ঞতা ও মেধার যুগলবন্দিও বটে। একদিকে রয়েছেন মহুয়া মৈত্র—স্পষ্টভাষী, দৃঢ়চেতা, রাজনৈতিকভাবে সচেতন এক নেত্রী, যিনি নিজের স্টাইল স্টেটমেন্ট ও দায়িত্বশীল সাংসদ হিসেবে জাতীয় স্তরে পরিচিত। অন্যদিকে রয়েছেন পিনাকী মিশ্র—সেন্ট স্টিফেনস কলেজ ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী, সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী এবং তিনবারের সংসদ সদস্য।

উল্লেখযোগ্য, দু’জনেরই এটি দ্বিতীয় বিবাহ। কিন্তু এই সম্পর্কে প্রতিফলিত হচ্ছে এক পরিণত জীবনের পরিপক্বতা ও পরস্পরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। রাজনীতি, আইন ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা মিলেমিশে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন মহুয়া ও পিনাকী। এই যাত্রা নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের রাজনৈতিক ও সামাজিক আখ্যানেও বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top