রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের দ্রৌপদি মুর্মুকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করেছে বিজেপি। বিজেপি ভোটের রাজনীতি করার জন্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের দ্রৌপদি মুর্মু কে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করেছে। চিরচারিত রীতি অনুযায়ী অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে পরামর্শ না করেই কেবলমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলা কে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করা হয়েছে। আগামি দিনে ৪ টি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। ওই ৪ টি রাজ্যই আদিবাসি অধ্যুষিত। তাই কেবলমাত্র রাজনৈতিক সহানুভূতি আদায়ের জন্যই বিজেপি এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবী তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য মুখপাত্র তথা বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি দেবু টুডুর। সোমবার সংস্কৃতি লোকমঞ্চের এনেক্স হলে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দেবু টুডু জানান, আজ থেকে ১০- ১১ সালে রাজ্যে আদিবাসিদের কোন আলাদা উপাসনাস্থল ছিল না।
তাদের অলচিকি ভাষায় পড়াশনার ব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ১০-১১ বছরে আদিবাসিদের জন্য উপস্থনা স্থল ‘জাহের স্থান’ থেকে শুরু করে অলচিকি ভাষায় পঠন পাঠনের ব্যবস্থা চালু করেছেন। তাদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করার প্রচেষ্টা করেছেন। তাই আদিবাসীদের প্রকৃতপক্ষে ভাল চেয়ে এসেছেন রাজ্যের মা মাটি মানুষের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপি শুধুমাত্র রাজনীতির জন্যেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলাকে রাস্ট্রপতি প্রার্থী করেছে। দেবু টুডুর অভিযোগ, বিজেপি আদিবাসীদের জোর করে হিন্দু করার চেষ্টা চলছে।
ভারতবাসির প্রাচীনতম বাসিন্দা হিসাবে আদিবাসীদের নিজস্ব ধর্ম আছে। কিন্তু দ্রৌপদি মুর্মু নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দিচ্ছেন, যা আদিবাসীদের স্বার্থের পরিপন্থী। তাই যে কোন রাজনৈতিক দলের আদিবাসী বিধায়ক ও সাংসদদের আদিবাসী সমাজ ও ধর্ম রক্ষার স্বার্থে সুচিন্তিত পদক্ষেপ নেবার আহ্বান জানান দেবু টুডু। উল্লেখ্য,
রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে শেষ মূহুর্তে আদিবাসী সম্প্রদায় থেকে উঠে আসা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদি মূর্মূর নাম ঘোষনা করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন – একুশের প্রচারে এবার মহিলা তৃণমূলের হাট মিছিল সোনাপুরে
এর ফলে রাজনীতিগত ভাবে বেশ বিপাকে তৃণমূল সহ ভারতের অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বিজেপি বিরোধী দল হিসাবে দ্রৌপদি মুর্মুকে সমর্থন করতে পারছে না তৃণমূল, আবার সমর্থন না করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে চটাতেও চাইছে না তারা। তাই ২০২৪ লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে আদিবাসী সম্প্রদায়ভূক্ত মানুষদের না চটিয়ে তারা বিজেপির বিরুদ্ধে নীতিগতভাবে মোকাবিলার রাস্তা খুঁজতেই রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে এই ধরনের অভিযোগ আনার চেষ্টা করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।