রাজপথ অবরুদ্ধ করে বিশৃঙ্খলার দায়ে গ্রেপ্তার ২। বনধের নামে রাজপথ অবরুদ্ধ করে বিশৃঙ্খলার দায়ে শিলিগুড়িতে গ্রেপ্তার দুই বিজেপি বিধায়ক। আটক বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। ভোট ঘিরে সন্ত্রাসের অযুক্তিক দাবি তোয়াক্কা করলো না শিলিগুড়ির জনতা। বনধের বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে শহরের রাজপথে পদযাত্রায় নামে মানুষের ঢল।
সোমবার সপ্তাহের প্রথম ব্যস্ততম দিনে স্বাভাবিক গতিতে ছুটলো শহর। সোমবার সকালে শিলিগুড়ি শহর সহ শিলিগুড়ি মহকুমার বাগডোগড়া এলাকায় বনধের নামে রাস্তা অবরুদ্ধ, গন পরিবহন আটক সহ ব্যাবসায়িদের ধমক চমক দেখিয়ে দোকানপাট বনধের নামে জুলুমবাজিতে নামে বিজেপি কর্মীরা শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও মাটিগাড়া নকশালবাড়ি বিধায়ক আনন্দময় বর্মনের নেতৃত্বে। এদিন সকালে শিলিগুড়ি হিলকার্ট রোডে দল বল নিয়ে জনতার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে নেমে পড়ে বিজেপি।
বামের ঘর থেকে রামে আসা বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ধমক চমক থেকে এক ধাপ এগিয়ে বাম জামানার নিজ স্বমহিমায় বাহুবলি ক্ষমতা প্রদর্শনে নেমে পড়েন। জোর করে ব্যবসায়ী দের দোকান পাট বন্ধ করতে লাগেন। যদিও পুলিশ ব্যবসায়ীদের আশস্ত করায় বিধায়কের কথা তোয়াক্কা করেননি শহরের ব্যবসায়ীরা। বেশ কিছু ব্যবসায়ীর দোকান বন্ধ করতে গেলে পাল্টা ব্যাবসায়দের বিরোধের মুখোমুখি হয় বিজেপি নেতৃত্বরা। এমনকি সরকারি বাস ডিপো থেকে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের ছাড়া সরকারি বাস আটকে দেন তারা। তবে যাত্রী হেনস্তার আগেই পুলিশের স্বতস্ফূর্ততা বিজেপির যোগসাজশকে ব্যর্থ করে বাস চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
আর ও পড়ুন বিজেপির ডাকা বনধে তেমন প্রভাব পড়লো না ঝাড়গ্রাম জেলায়
তাতেও কাজ না হওয়ায় কোথাও রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে আবার কোথাও রাস্তার ওপর শুয়ে রাজপথ অবরুদ্ধ করার প্রচেষ্টায় নামে। একাধিকবার পুলিশের তরফে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হলেও তাতে কান না দিয়ে তাদের সারাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাঁধিয়ে দেন বিজেপি বিধায়ক ও কর্মীরা। বাধ্য হয়ে পুলিশ বিজেপির দুই বিধায়ক তথা বিজেপির রাজ্য সম্পাদক শংকর ঘোষ এবং মাটিগাড়া নকশালবাড়ি বিধায়ক তথা শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি আনন্দময় বর্মনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের সঙ্গে থাকা প্রায় ৩০-৫০জন বিজেপি কর্মীকে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে দিনভর শিলিগুড়ি শহরের বাজার ঘাট থেকে যান চলাচল, বিদ্যালয়, কলেজ, অফিস, কাছাড়ি একেবারেই স্বাভাবিক ছিল।
শিলিগুড়ি পুরো নিগমে কর্মী উপস্থিতির হার ৯৮% জানান পুর কমিশনার। আবার শিলিগুড়ি মহকুমা দপ্তরেও দূরদূরান্ত মহাকুমা এলাকা থেকে গণপরিবহনে কেউ আবার বাইক ও সাইকেলে করে হাজির হন। সেখানে কর্মীদের হাজিরার গড় প্রায় ৯০%এর কাছাকাছি জানান শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সচিব। মহকুমা পরিষদের কর্মী মুনমুন দে জানান বাগডোগরা থেকে পাবলিক অটোরিক্সাতে এসেছি। তাড়াতাড়ি পৌঁছে গিয়েছে। ফাঁসিদেওয়া চটহাটের দিনু মন্মমদ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের বাসেই শিলিগুড়ি মহকুমা দপ্তরে এসে পৌঁছেছেন। তিনি বলেন মাঝে বাগডোগরা কাছে একবার বাস আটকের চেষ্টা করে বিজেপি তবে তৎক্ষণাৎ পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে বাস চলাচল সচল করে দেয়।