অফবিট- ভারতের রাজস্থান রাজ্যের বিস্তীর্ণ থার মরুভূমি বর্তমানে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সোনার বালির এই রাজ্যে শীতের মরসুমে দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসু ছুটে আসছেন। মরুভূমির গা ছমছমে সৌন্দর্য, ঐতিহ্যবাহী রাজস্থানি সংস্কৃতি এবং সাহসিকতায় ভরা ক্যাম্পিং অভিজ্ঞতা মানুষকে টানছে রোজকার কোলাহল থেকে অনেক দূরে।
কোথায় যাবেন:
থার মরুভূমির প্রাণকেন্দ্র জয়সালমার শহর। এখানকার স্যাম (Sam) ও খুরি (Khuri) গ্রাম দুটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ডেজার্ট সাফারি স্পট। উটের পিঠে চেপে সূর্যাস্ত দেখার রোমাঞ্চ, বালির ঢিবিতে স্যান্ডবোর্ডিং এবং রাতের অন্ধকারে রাজস্থানী লোকগান ও নৃত্যের আসর পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।
থাকা-খাওয়ার সুবিধা:
মরুভূমির মধ্যে তৈরি হয়েছে অসংখ্য বিলাসবহুল ও মাঝারি মানের টেন্ট ক্যাম্প। AC এবং non-AC উভয় রকম তাঁবুর সুবিধা রয়েছে। খাবারের তালিকায় থাকে দেশি-বিদেশি পদ এবং খাঁটি রাজস্থানি রেসিপি—দাল বাটি চুরমা, গাট্টে কি সবজি, লাল মাংস ইত্যাদি।
স্থানীয় হোটেলগুলিও পর্যটকদের মন জয় করছে তাদের আতিথেয়তা ও পরিষেবার গুণে।
কত খরচ পড়বে:
উট সাফারি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ এক রাত দু’দিনের প্যাকেজ শুরু হচ্ছে ৩৫০০ টাকা থেকে। বিলাসবহুল টেন্টে থাকলে খরচ ৭০০০ থেকে ১২,০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।
কীভাবে পৌঁছাবেন:
জয়সালমার রেলপথে ও সড়কপথে সহজে পৌঁছানো যায়। জোধপুর থেকে প্রায় ২৮৫ কিমি দূরে অবস্থিত এই শহরটি দেশের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে সংযুক্ত। নিকটতম বিমানবন্দর জোধপুর।
পর্যটকদের জন্য পরামর্শ:
মরুভূমিতে দিনের বেলায় প্রচণ্ড রোদ থাকে, রাতে আবার পড়ে যায় ঠান্ডা। তাই সূর্যক্রীড়া বা ক্যাম্পিংয়ে গেলে হালকা গরম পোশাক, সানস্ক্রিন ও পর্যাপ্ত পানি সঙ্গে রাখাই বাঞ্ছনীয়।
